মুজাফ্ফরনগর (উত্তরপ্রদেশ), 5 সেপ্টেম্বর : শক্তি প্রদর্শনে সফল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ৷ রবিবার তাদের ছাতার নীচেই উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে আয়োজিত হল কিষাণ মহাপঞ্চায়েত ৷ সেই উপলক্ষে 15টি রাজ্য থেকে 300টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের সদস্যরা এদিন এখানে পৌঁছে যান ৷ মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখা হয় ৷ এদিকে, এই একই কারণে আগামী 27 সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা ৷
আরও পড়ুন : Farmer Death : কৃষক বিক্ষোভে পুলিশের লাঠি, প্রাণ গেল এক বিক্ষোভকারীর
এদিনের সভামঞ্চ থেকে বক্তারা যে ভাষণ দেন, তার সারমর্ম হল,কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, সামান্য কিছু কৃষক নাকি আন্দোলন করছেন ৷ আজ ওরা এসে দেখে যাক, সামান্য কৃষকদের সংখ্য়াটা ঠিক কত ৷ আমাদের আওয়াজ আরও জোরদার করতে হবে ৷ যাতে সংসদে বসে থাকা ব্যক্তিদের কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ পৌঁছয় ৷ কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, মহাপঞ্চায়েতের এই জমায়েতই প্রমাণ করছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন ৷ এই প্রসঙ্গে মোর্চার তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয় ৷ তাতে বলা হয়েছে, ‘‘কৃষকের ক্ষমতা কতটা, শ্রমিকের ক্ষমতা কতটা, কৃষক আন্দোলনের সমর্থকদেরই বা কতটা শক্তি রয়েছে, এই মহাপঞ্চায়েতই যোগী আর মোদি সরকারের কাছে তা স্পষ্ট করে দিল ৷ গত নয় মাসের মধ্যে কৃষকদের এই জমায়েত বৃহত্তম ৷’’
প্রসঙ্গত, 2022 সালেই ভোট রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ৷ কৃষক নেতাদের সাফ কথা, কেন্দ্র যদি তাঁদের দাবি না মানে, তাহলে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে প্রচারে নামবেন তাঁরা ৷ এমনকী, প্রয়োজনে 2024-এর লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতেও তাঁরা যে পিছপা হবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোর্চা নেতারা ৷ তাঁরা সকলেই চান, কেন্দ্র ও রাজ্যে এমন সরকার আসুক, যারা কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করবে ৷ এই প্রসঙ্গে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) বলেন, ‘‘এটাই হল কৃষকের শক্তি ৷ সরকার কতদিন আমাদের বঞ্চিত করবে ? বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা নিজেরাই এখানে আসার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন ৷ কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য তাঁরা এখানে জমায়েত করেননি ৷’’
আরও পড়ুন : Farmer Agitation : রাস্তা আটকে আন্দোলন নয়, কৃষক আন্দোলনে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
টিকায়েতের অভিযোগ, কেন্দ্রের মোদি সরকার গোটা দেশটাকেই বিক্রি করার চেষ্টা করছে ৷ সমস্ত সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ টিকায়েত জানিয়েছেন, এরপর লখনউয়ে তাঁদের একটি জমায়েত রয়েছে ৷ সেটি করবেন স্থানীয় আঁখ চাষিরা ৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনের মহাপঞ্চায়েতে রাষ্ট্রীয় লোক দলের (Rashtriya Lok Dal) উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে ৷ দলের পক্ষ থেকে কৃষকদের উপর ফুলবর্ষণের একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, জেলা প্রশাসন তার অনুমতি দেয়নি ৷ যা নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আরএলডি (RLD) সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী (Jayant Chaudhary) ৷