নয়াদিল্লি, 15 মার্চ : বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায় দোষীসাব্যস্ত আরিজ খানকে ফাঁসির সাজা শোনাল দিল্লির সাকেত আদালত ৷ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সন্দীপ যাদব উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আজ এই সাজা ঘোষণা করেছেন ৷ 2008 সালে 19 সেপ্টেম্বর এল-18 বাটলা হাউসে পুলিশের সঙ্গে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সন্দেহভাজন 2 হ্যান্ডলার আরিজ় খান এবং শাহজ়াদের এনকাউন্টার হয় ৷ সেই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসার এম সি শর্মার মৃত্যু হয় ৷ সেই ঘটনায় গত 8 মার্চ আরিজ খানকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালতে ৷ এর পর আজ বিচারক আরিজ খানকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন ৷ পাশাপাশি 11 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে 10 লক্ষ টাকা দ্রুত নিহত পুলিশ অফিসার এমসি শর্মার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷
প্রসঙ্গত, 2008 সালে 13 সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সিরিয়াল ব্লাস্টের পর, যখন রাজধানী জুড়ে খানা তল্লাশি চলছিল ৷ সেই সময় 19 সেপ্টেম্বর বাটলা হাউসে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই জঙ্গির সঙ্গে পুলিশের এনকাউন্টার হয় ৷ সেই ঘটনায় দিল্লি পুলিশে স্পেশাল সেলের অফিসার এমসি শর্মা জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান ৷ সেই ঘটনার পর থেকে শাহজাদ এবং আরিজ খান পলাতক ছিল ৷ 2010 সালে শাহজাদকে আজমগড় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তারপর দীর্ঘ শুনানির পরে 2013 সালের 25 জুলাই আদালত শাহজাদকে এমসি শর্মার খুনে দোষীসাব্যস্ত করে ৷ তবে, আরজি খান পলাতক ছিল ৷ এরপর আরিজ খান গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ শুনানিতে গত 8 মার্চ আরিজ খানকেও দোষীসাব্যস্ত করে আদালত ৷ আজ দিল্লির সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরিজ খানকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : বুকে গুলি, বিকাশের এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু
আজ শুনানি চলাকালীন দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী এটি আনসারি বলেন, এই মামলাটি বিচারের রক্ষকের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত ৷ একজন পুলিশ অফিসার নিজের কর্তব্য পালনের সময় খুন হন ৷ পুলিশের তরফে কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ৷ ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া অস্ত্রের মজুদ থেকে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল, সেদিন অভিযুক্তরা যে কাউকে হত্যা করতে প্রস্তুত ছিল । একই সঙ্গে আদালতও এই মামলাটিকে বিরলের থেকে বিরল বলে অভিহিত করেছে ৷