ETV Bharat / bharat

Strange Rules for Girl's marriage: মাতৃগর্ভেই ঠিক হয় মেয়েদের বিয়ে, মধ্যপ্রদেশে আজব গ্রামের খোঁজ - Girls Marriages

রৎলাম-মন্দসৌর রাজ্যসড়কের পাশে অবস্থিত বাঞ্চড়া সমাজে মেয়েদের বিয়ে গর্ভেই নির্ধারিত হয়ে যায় । কেন এমন নিয়ম ? পড়ুন বিস্তারিত ৷

child marriage
বাঞ্চড়া সমাজ
author img

By

Published : Jun 25, 2023, 11:20 AM IST

Updated : Jun 25, 2023, 11:36 AM IST

রৎলাম (মধ্য়প্রদেশ) , 25 জুন: বিয়ে যেন এখানে শুধুই পুতুল খেলা...। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে নামকরণের আগেই এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ৷ মেয়েদের সম্মত্তি না থাকলেও তা নিয়ে কেউ বিশেষ ভাবিত হয় না। জন্মের পরই নিজের নামের পাশে বসে যায় অন্য একজনের নাম ৷ যার জন্যে সে বড় হয়ে ওঠে ৷ আর 16 বছর হলেই বিয়ে করে চলে যেতে হয় সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে ৷

উনবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মেয়েরা নিজের মর্জির মালিক ৷ চাকরি থেকে বিয়ে সবই হচ্ছে তাদের ইচ্ছানুসারে ৷ কিন্তু আমাদের এই দেশেই এমন কয়েকটি গ্রাম আছে যেখানে আজও মেয়েদের জন্মের আগেই তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ৷ এই গ্রামগুলি মধ্যপ্রদেশের রৎলামের কাছে অবস্থিত ৷ গ্রামের বিলাসবহুল বাড়িগুলি দেখে অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই । মধ্যপ্রদেশের অন্য গ্রামের তুলনায় এখানে অনেক কিছুই আলাদা ।

আরও পড়ুন: গায়েহলুদ হলেও হল না সাতপাকে ঘোরা! ছাদনাতলায় এসে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন

এখানকার বেশিরভাগ মহিলাই যৌনকর্মী ৷ তাঁরা মেয়েদের জন্ম দেন ঠিকই কিন্তু নিজেদের সন্তানের উপরেই তাঁদের কোনও অধিকার থাকে না ৷ নিতে হয় না দায়িত্বও। মেয়ের সম্পূর্ণ 'অধিকার' অন্য কারও ৷ বিয়ে যাঁর সঙ্গে ঠিক হয় সব দায়িত্ব তাঁরই ৷ একজন নারীর মা হওয়া থেকে শুরু করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া পর্যন্ত সংবিধানে প্রদত্ত সকল অধিকার এবং জন্মসূত্রে নাগরিক হিসেবে কন্যাকে প্রদত্ত অধিকারের কোনওটাই এখানে মানা হয় না । এই সমাজের নিজস্ব আইন আছে। এখানকার বাসিন্দাদের জীবন চলে সেই আজগুবি নিয়ম মেনে ৷

রৎলামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত মাননখেদা গ্রামে রয়েছে প্রায় 1800টি বাড়ি। সেখানে বাঞ্চড়া সমাজের মানুষের বাস । রাজ্যসড়ক সংলগ্ন সব বাড়িই তাদের । এখানকার এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের সমাজে সব মেয়ের বিয়ে আগেই ঠিক করে ফেলা হয় । আমরা শুধু চাই এই মেয়েরা বিয়ের পর যেন একসঙ্গে থাকে ।" কোন বয়সে বিয়ে ঠিক করা হয় ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, "অনেক সময় গর্ভে থাকাকালীন বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । আবার জন্মের পরও ঠিক হয় ৷ এখনও মেয়েরা পড়াশোনা করছে এবং স্কুলে যাচ্ছে কিন্তু সতেরো বছর হলেই বিয়ে হয়ে যাবে।"

আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই যুবতীকে অপহরণ, কোলে তুলে জোর করে সাত পাক দুষ্কৃতীর; ভাইরাল ভিডিয়ো

মন্দসৌর জেলার গুর্জার ওয়ার্দিয়া গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করলে অনেকেই অবাক হয়ে যান। পুরো গ্রাম অবশ্যই বাঞ্চড়া জাতিভুক্ত নয় । তবে গুর্জার ওয়ার্দিয়াতে তাদের শিবির রয়েছে । এখানে ভাইদের জীবিকাও চলে এই বোনদের কারণে । বাঞ্চড়া সম্প্রদায়ের পরিবারের মেয়েরা দেহ ব্যবসায় নেমে যে আয় হয় করে তা দিয়ে জমি কেনা হয়। প্রতিটি বাড়িতে তিন থেকে পাঁচ একর জমি রয়েছে। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় স্থানীয় অর্থনীতি।

রৎলাম (মধ্য়প্রদেশ) , 25 জুন: বিয়ে যেন এখানে শুধুই পুতুল খেলা...। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে নামকরণের আগেই এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ৷ মেয়েদের সম্মত্তি না থাকলেও তা নিয়ে কেউ বিশেষ ভাবিত হয় না। জন্মের পরই নিজের নামের পাশে বসে যায় অন্য একজনের নাম ৷ যার জন্যে সে বড় হয়ে ওঠে ৷ আর 16 বছর হলেই বিয়ে করে চলে যেতে হয় সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে ৷

উনবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মেয়েরা নিজের মর্জির মালিক ৷ চাকরি থেকে বিয়ে সবই হচ্ছে তাদের ইচ্ছানুসারে ৷ কিন্তু আমাদের এই দেশেই এমন কয়েকটি গ্রাম আছে যেখানে আজও মেয়েদের জন্মের আগেই তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ৷ এই গ্রামগুলি মধ্যপ্রদেশের রৎলামের কাছে অবস্থিত ৷ গ্রামের বিলাসবহুল বাড়িগুলি দেখে অবাক হওয়ার কোনও কারণ নেই । মধ্যপ্রদেশের অন্য গ্রামের তুলনায় এখানে অনেক কিছুই আলাদা ।

আরও পড়ুন: গায়েহলুদ হলেও হল না সাতপাকে ঘোরা! ছাদনাতলায় এসে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন

এখানকার বেশিরভাগ মহিলাই যৌনকর্মী ৷ তাঁরা মেয়েদের জন্ম দেন ঠিকই কিন্তু নিজেদের সন্তানের উপরেই তাঁদের কোনও অধিকার থাকে না ৷ নিতে হয় না দায়িত্বও। মেয়ের সম্পূর্ণ 'অধিকার' অন্য কারও ৷ বিয়ে যাঁর সঙ্গে ঠিক হয় সব দায়িত্ব তাঁরই ৷ একজন নারীর মা হওয়া থেকে শুরু করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া পর্যন্ত সংবিধানে প্রদত্ত সকল অধিকার এবং জন্মসূত্রে নাগরিক হিসেবে কন্যাকে প্রদত্ত অধিকারের কোনওটাই এখানে মানা হয় না । এই সমাজের নিজস্ব আইন আছে। এখানকার বাসিন্দাদের জীবন চলে সেই আজগুবি নিয়ম মেনে ৷

রৎলামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত মাননখেদা গ্রামে রয়েছে প্রায় 1800টি বাড়ি। সেখানে বাঞ্চড়া সমাজের মানুষের বাস । রাজ্যসড়ক সংলগ্ন সব বাড়িই তাদের । এখানকার এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের সমাজে সব মেয়ের বিয়ে আগেই ঠিক করে ফেলা হয় । আমরা শুধু চাই এই মেয়েরা বিয়ের পর যেন একসঙ্গে থাকে ।" কোন বয়সে বিয়ে ঠিক করা হয় ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, "অনেক সময় গর্ভে থাকাকালীন বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । আবার জন্মের পরও ঠিক হয় ৷ এখনও মেয়েরা পড়াশোনা করছে এবং স্কুলে যাচ্ছে কিন্তু সতেরো বছর হলেই বিয়ে হয়ে যাবে।"

আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই যুবতীকে অপহরণ, কোলে তুলে জোর করে সাত পাক দুষ্কৃতীর; ভাইরাল ভিডিয়ো

মন্দসৌর জেলার গুর্জার ওয়ার্দিয়া গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করলে অনেকেই অবাক হয়ে যান। পুরো গ্রাম অবশ্যই বাঞ্চড়া জাতিভুক্ত নয় । তবে গুর্জার ওয়ার্দিয়াতে তাদের শিবির রয়েছে । এখানে ভাইদের জীবিকাও চলে এই বোনদের কারণে । বাঞ্চড়া সম্প্রদায়ের পরিবারের মেয়েরা দেহ ব্যবসায় নেমে যে আয় হয় করে তা দিয়ে জমি কেনা হয়। প্রতিটি বাড়িতে তিন থেকে পাঁচ একর জমি রয়েছে। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় স্থানীয় অর্থনীতি।

Last Updated : Jun 25, 2023, 11:36 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.