আগরতলা, 24 মে : এর আগে বাঁশের তৈরি বোতল আর বাঁশের ফুলের চাল তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা ৷ আর এবার হাজির ‘বাঁশপাতার চা’ ! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে কৌতূহল ৷
এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা সমীর জামাতিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই 500 কিলোগ্রাম ‘বাঁশপাতার চা’ দিল্লির এক রফতানিকারীকে বিক্রি করা হয়েছে ৷ এছাড়া, মাদুরাইয়ের এক বাসিন্দাও তিন-চার কিলো ‘চা’ কিনেছেন ৷ তিনি তিনদিনের জন্য ত্রিপুরায় ছিলেন এবং কীভাবে বাঁশপাতা থেকে ‘চা’ তৈরি হচ্ছে, সেটাও আগাগোড়া দেখেছেন ৷ রফতানিকারীর কাছ থেকে 120 টাকা কেজি দরে চা কিনেছেন তিনি ৷
বাম্বু সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সমীর জামাতিয়া ৷ বিশ্বের নানা দেশে ঘোরার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ৷ যার মধ্যে অন্যতম চিন ৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কী কী ধরনের বাঁশের কাজ হয়, সেই সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে সমীরের ৷ মূলত তাঁর ব্য়ক্তিগত উদ্যোগেই ত্রিপুরায় এই ‘চা’ প্রকল্প শুরু করা হয় ৷ বাঁশের কচি পাতা সংগ্রহ থেকে তা শুকিয়ে ‘চা’ তৈরি করা এবং সবশেষে তা বাক্সবন্দি করা, পুরোটাই হয়েছে সমীরের দেখভালে ৷
আরও পড়ুন : নতিস্বীকার করেও অ্যালোপ্যাথিকে সীমাবদ্ধ বলে রিটুইট রামদেবের
সমীর জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের দাবি বাঁশের পাতা থেকে তৈরি ‘চা’-এ প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রাপার্টি থাকে ৷ এই পাতায় মজুত সিলিকন চুল, ত্বক ও নখ সুস্থ রাখে ৷ মজবুত করে হাড় ও দাঁতের গঠনও ৷ ত্রিপুরায় প্রায় 30 রকমের বাঁশ উৎপন্ন হয় ৷ এর সবক’টি থেকেই ‘চা’ তৈরি করা যায় ৷ প্রজাতি ভেদে এদের স্বাদ ও গন্ধও ভিন্ন হয় ৷