দেরাদুন, 18 জুন: কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানো সোনার পাত আসলে পিতলের ! সোশাল মিডিয়া এমনই দাবি করে একাধিক ব্যক্তি পোস্ট করেছিলেন ৷ যেগুলিকে মিথ্যা বলে পালটা বিবৃতি জারি করেছে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি ৷ একইসঙ্গে, মন্দির কমিটির তরফে পিতলের গুজব অস্বীকার করে বিষয়টিকে 'ষড়যন্ত্র' বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল এবং মেঝে সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় ৷ যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই পোস্ট করেন ৷ তবে সেই পোস্টগুলিকে বিভ্রান্তিকর বলেই দাবি করছে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি ৷ তাদের বিবৃতি অনুসারে, একদল ভক্ত শ্রী কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ সম্পূর্ণ সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন ৷ সেই দাতার অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে, প্রস্তাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করে এবং সবকিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই মন্দির কমিটির তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মন্দির কমিটি স্পষ্ট করেছে যে, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি আইন-1939-এ বর্ণিত বিধান অনুসারে, দাতাদের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহকে সোনার প্রলেপ দেওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে ৷
বিবৃতিতে মন্দির কমিটি লিখেছে, "সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে।" গর্ভগৃহে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ দাতা নিজেই করেছেন বলেও দাবি করে হয়েছে ওই বিবৃতিতে। কমিটি জানিয়েছে, ওই ভক্ত তাঁর নিজের জুয়েলার্স থেকে তামার প্লেট তৈরি করে তার ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজটি করেছেন ৷ দাতা তার জুয়েলার্সের মাধ্যমে মন্দিরে এই প্লেটগুলি বসিয়েছিলেন। সোনা কেনা থেকে শুরু করে দেওয়ালে লাগানো পর্যন্ত পুরো কাজ ওই ভক্তই করেছেন। এতে মন্দির কমিটির সরাসরি কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। সুতরাং মন্দির কর্তৃপক্ষের সাফ বক্তব্য, সমস্ত কাজটি ওই ভক্তই করেছেন ৷
আরও পড়ুন: দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মানলেন কলকাতার যুবক, ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে 292
বিবৃতি অনুসারে, দাতা তার স্বর্ণকারের মাধ্যমে গর্ভগৃহে স্থাপিত সোনা এবং তামার প্লেটের পাকা বিল এবং ভাউচারগুলি পরে মন্দির কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয় ৷ দান হিসাবে করা এই কাজের জন্য দাতা বা কোনও সংস্থা যে মন্দিরের কাছে কোনও শর্ত রাখেনি এবং তিনি আয়কর আইনে ছাড়ের জন্য 80জি ধারার অধীনে কোনও শংসাপত্র চাননি তাও স্পষ্ট করা হয়েছে। শ্রী বদ্রীনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহও এই একই ভক্ত 2005 সালে সোনা দিয়ে বাধিয়ে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু বর্তমানে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অধীনে বিদ্বেষমূলক অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপ্রেরণায় এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশনায় সুসংগঠিত কেদার এবং বদ্রীনাথ যাত্রায় যেভাবে যাত্রীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তার কারণেই এই ষড়যন্ত্র করছে একশ্রেণির মানুষ ৷