ETV Bharat / bharat

Drones Captured by BSF: বাইশে বাজেয়াপ্ত 22টি ড্রোন, 317 কিলো মাদক ! পঞ্জাবের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা - বিএসএফ

2022 সালে পঞ্জাবের (Punjab) অন্তগর্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (India Pakistan Border) লাগোয়া এলাকা থেকে 22টি ড্রোন (Drones) বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ (BSF) ৷ এমন ঘটনায় রাজ্য ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা ৷

at least 22 Drones captured by BSF during 2022
ফাইল ছবি ৷
author img

By

Published : Dec 31, 2022, 8:46 PM IST

চণ্ডীগড়, 31 ডিসেম্বর: পঞ্জাবের (Punjab) অন্তগর্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (India Pakistan Border) এলাকা থেকে চলতি বছর 22টি সক্রিয় ড্রোন (Drones) চিহ্নিত করে, সেগুলিকে গুলি করে নীচে নামিয়েছে বিএসএফ (BSF) ৷ বাহিনীর দাবি, এর ফলে 316.988 কিলোগ্রাম মাদক এবং 67টি আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের আগেই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তারা ৷ সূত্রের দাবি, এই ড্রোনগুলি মূলত পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে পাঠায় ৷ দেশজুড়ে অশান্তি ছড়াতে এভাবে ড্রোনের মাধ্যমে হাতিয়া ও মাদক পাচার করে তারা ৷ যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে তাদের বাগে আনতে এবং তরুণদের মাধ্যমে ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে এভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র ও মাদক পাঠানো হয় ৷

বিএসএফের হাতে আসা তথ্য এবং পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ইদানীংকালে পঞ্জাবের অন্তর্গত ভারত-পাক সীমান্তে এই ধরনের ড্রোনের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে সীমান্তের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাই বিএসএফ এবং গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় পঞ্জাব ! জারি সতর্কতা

সূত্রের খবর, 2022 সালে এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে 230টিরও বেশি ড্রোন ভারতে ঢোকানো হয়েছে ৷ তার মধ্যে মাত্র 22টিকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে ৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান 10 শতাংশেরও কম ৷ আর তাতেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের ৷ মাত্র 22টি ড্রোন থেকে যদি এত পরিমাণ মাদক ও হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়, তাহলে বাকি ড্রোনগুলিতে এই ধরনের কত পণ্য ছিল ! এর আগে 2020 সালে পঞ্জাবের অন্তর্গত ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে অন্তত 79বার ড্রোন ঢোকানো হয় ৷ পরের বছর, অর্থাৎ 2021 সালে সেই সংখ্য়াটাই বেড়ে হয় 109 ৷ আর 2022 সালে তা বেড়ে 230-ও ছাড়িয়ে যায় ৷ এর জেরে পঞ্জাব-সহ গোটা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৷

শীতের মরশুমে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ, এই সময় কুয়াশার দাপট থাকে ৷ তাতে দৃশ্যমানতা কমে যায় ৷ ফলে খালি চোখে ড্রোন চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে ৷ তা সত্ত্বেও সীমান্তে মোতায়েন থেকে লাগাতার টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ তাঁরা সতর্ক থাকেন বলেই কিছু ড্রোনকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয় ৷ বিএসএফের আধিকারিকরা বলছেন, শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন সংগঠন নয়, পাচারকারীরাও তাদের কারবার চালাতে ড্রোন ব্যবহার করে ৷

চণ্ডীগড়, 31 ডিসেম্বর: পঞ্জাবের (Punjab) অন্তগর্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত (India Pakistan Border) এলাকা থেকে চলতি বছর 22টি সক্রিয় ড্রোন (Drones) চিহ্নিত করে, সেগুলিকে গুলি করে নীচে নামিয়েছে বিএসএফ (BSF) ৷ বাহিনীর দাবি, এর ফলে 316.988 কিলোগ্রাম মাদক এবং 67টি আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের আগেই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তারা ৷ সূত্রের দাবি, এই ড্রোনগুলি মূলত পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে পাঠায় ৷ দেশজুড়ে অশান্তি ছড়াতে এভাবে ড্রোনের মাধ্যমে হাতিয়া ও মাদক পাচার করে তারা ৷ যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে তাদের বাগে আনতে এবং তরুণদের মাধ্যমে ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে এভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র ও মাদক পাঠানো হয় ৷

বিএসএফের হাতে আসা তথ্য এবং পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ইদানীংকালে পঞ্জাবের অন্তর্গত ভারত-পাক সীমান্তে এই ধরনের ড্রোনের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে সীমান্তের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তাই বিএসএফ এবং গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় পঞ্জাব ! জারি সতর্কতা

সূত্রের খবর, 2022 সালে এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে 230টিরও বেশি ড্রোন ভারতে ঢোকানো হয়েছে ৷ তার মধ্যে মাত্র 22টিকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে ৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান 10 শতাংশেরও কম ৷ আর তাতেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের ৷ মাত্র 22টি ড্রোন থেকে যদি এত পরিমাণ মাদক ও হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়, তাহলে বাকি ড্রোনগুলিতে এই ধরনের কত পণ্য ছিল ! এর আগে 2020 সালে পঞ্জাবের অন্তর্গত ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে অন্তত 79বার ড্রোন ঢোকানো হয় ৷ পরের বছর, অর্থাৎ 2021 সালে সেই সংখ্য়াটাই বেড়ে হয় 109 ৷ আর 2022 সালে তা বেড়ে 230-ও ছাড়িয়ে যায় ৷ এর জেরে পঞ্জাব-সহ গোটা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৷

শীতের মরশুমে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ কারণ, এই সময় কুয়াশার দাপট থাকে ৷ তাতে দৃশ্যমানতা কমে যায় ৷ ফলে খালি চোখে ড্রোন চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে ৷ তা সত্ত্বেও সীমান্তে মোতায়েন থেকে লাগাতার টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ তাঁরা সতর্ক থাকেন বলেই কিছু ড্রোনকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয় ৷ বিএসএফের আধিকারিকরা বলছেন, শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী বিভিন্ন সংগঠন নয়, পাচারকারীরাও তাদের কারবার চালাতে ড্রোন ব্যবহার করে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.