গুয়াহাটি (অসম), 19 এপ্রিল: ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগ তুলেছেন অসমে যুব কংগ্রেসের প্রধান অঙ্কিতা দত্ত ৷ গতকাল মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ ওই কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস তাঁকে হেনস্তা করেছেন এবং তাঁর সঙ্গে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণও করেছেন ৷
মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলে টুইট করেন অঙ্কিতা ৷ সেখানে এই নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে বহুবার তিনি জানিয়েছেন ৷ কিন্তু কেউ তাঁর কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না ৷ তিনি আরও লেখেন, এই বিষয়টি সহ্য করার ক্ষেত্রে তাঁর শিক্ষা ও মূল্যবোধের পরিপন্থী হচ্ছে ৷ ওই টুইটে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি, কেসি বেণুগোপাল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরাকেও ট্যাগ করেছেন ৷
এছাড়াও তিনি কংগ্রেসে নিজের অতীতের কথা স্মরণ করিয়েছেন ৷ তাঁর পরিবারের চার প্রজন্ম কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেছেন ৷ পুলিশের কাছে হেনস্তা হওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন ৷ তার পরও শ্রীনিবাস তাঁকে হেনস্তা করছেন ৷ দলের স্বার্থে তিনি এতদিন চুপ ছিলেন ৷ তাঁকে চুপ থাকার কথাও বলা হয়েছিল ৷ দলের তরফে এই নিয়ে কোনও তদন্ত করা হল না বলেও তিনি আক্ষেপ করেছেন ৷
একই সঙ্গে যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি কেশব কুমারের প্রসঙ্গ টেনেছেন অঙ্কিতা ৷ কেশবের বিরুদ্ধে মিটু সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই অভিযোগে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে অঙ্কিতার প্রশ্ন, তাহলে শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? তিনি কি এতই ক্ষমতাশালী ?
একই সঙ্গে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তিনি জানতে চান, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা যে নারীদের নিরাপত্তার কথা বলেন, তাহলে সেটা কোথায় ? তিনি একজন মহিলা হয়ে এই পরিস্থিতি কীভাবে অন্য মহিলাদের কংগ্রেসে যোগদানের কথা বলতে পারেন ?
স্বাভাবিকভাবে এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে অসমের রাজনীতিতে ৷ যার প্রভাব পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷ এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে ৷ তবে কংগ্রেসের তরফে এখনও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷ কিন্তু শ্রীনিবাসের তরফে অঙ্কিতাকে মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে ৷ অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে মামলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ৷ তবে একটি মহল থেকে শোনা যাচ্ছে যে অঙ্কিতা আসলে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ৷ সেই কারণে আগেই দলের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ তুলে কংগ্রেস ছাড়ার রাস্তা পরিষ্কার করছেন ৷
সত্যিই কি তাই ! নাকি অন্য কিছু ! সেই উত্তর সময়ই দেবে ৷
আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যোগ দিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার