ইম্ফল, 23 জুন: মণিপুরের একটি গ্রামে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল একদল সশস্ত্র লোক ৷ তাঁদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ ইম্ফল পূর্ব জেলার ইয়াংগাংপোকপি (ওয়াইকেপিআই) থেকে লুকিয়ে শুক্রবার বিকেলেই পাহাড়ের দিকে চলে গিয়েছিল তারা ৷ সেখান থেকেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে উরংপাট এবং গোয়ালতাবি গ্রামের দিকে তারা গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ।
এই ঘটনার পর ফাঁকা গ্রামগুলিতে অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ যাতে অন্য কোনও ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় সে জন্য সতর্ক ছিল প্রশাসন ৷ ওয়াইকেপিআই ও সেইজাং এলাকার মহিলাদের একটি দল এই এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন ৷
বৃহস্পতিবার ভোর 5টার দিকে ইম্ফল পশ্চিম জেলার উত্তর বলজং-এ অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে দুই সৈনিক আহত হন ৷ সেই ঘটনার পরদিনই অর্থাৎ শুক্রবার এই এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধান অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ইনসাস লাইট মেশিনগান এবং একটি ইনসাস রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে । বুধবার সন্ধে পৌনে ছটার দিকে ওয়াইকেপিআই-এর উত্তরে উরংপাটের কাছে স্বয়ংক্রিয় ছোট অস্ত্রের গুলির শব্দও শোনা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নতুন করে হিংসা মণিপুরে, একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ; গুলির লড়াইয়ে আহত জওয়ান
উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসার কারণে এখনও পর্যন্ত 100 জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন । মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরে 3 মে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয় । তারপর থেকে টানা কয়েকদিন ধরে মণিপুরের নানা প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে ৷
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় 53 শতাংশ মেইতি এবং তাঁদের বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে । জনসংখ্যার বাকি প্রায় 40 শতাংশ নাগা এবং কুকি উপজাতির, তাঁরা সবাই পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে ।