ETV Bharat / bharat

'পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকরা নিরাপদ নয়', সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলা নিয়ে রাজ্যসভায় উদ্বেগ প্রকাশ অনুরাগের - গণমাধ্যমকর্মী

Anurag Thakur expresses concern over attacks on journalists in WB: অনুরাগ ঠাকুর রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের তোলা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন এদিন ৷ সেখানেই পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের উপর ক্রমাগত হামলার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ একই সঙ্গে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে বিশেষ অনুরোধও করেছেন।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 21, 2023, 10:18 PM IST

নয়াদিল্লি, 21 ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের উপর ক্রমাগত হামলার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ একই সঙ্গে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে বিশেষ অনুরোধও করেছেন। এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, "আইনশৃঙ্খলা রাষ্ট্রীয় বিষয় ৷ রাজ্য সরকারের উচিত গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।"

অনুরাগ ঠাকুর রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের তোলা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন এদিন ৷ যদিও সাসপেন্ড হওয়ার জেরে তৃণমূল সাংসদ হাউসে উপস্থিত ছিলেন না। যদিও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের তরফে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "প্রশ্নটি পশ্চিমবঙ্গের একজন সাংসদ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যিনি হাউসে নেই। একটি নির্দিষ্ট রাজ্যকে নির্দেশ করতে আমার অস্বস্তি হচ্ছে ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং সাংবাদিকদের উপর মারাত্মক হামলার খবরও পাওয়া গিয়েছে। তারা নিরাপদ বোধ করছেন না রাজ্যে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ৷"

রীতিমতো পরিসংখ্য়ান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "2015 সালের অক্টোবরে নির্বাচনের দিন প্রায় 20 জন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল ৷ তাদের কারও মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কারও ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। 2022 সালের ফেব্রুয়ারিতে দমদম এবং মেদিনীপুরে চার সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল।" এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী সদনে আরও বলেন, "2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় প্রায় 10 জন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল। জুন মাসে উত্তর 24 পরগনায় তিনজন ফটোগ্রাফারকে মারধর করা হয়েছিল।"

এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "আমার কাছে সাংবাদিকের উপর হামলার একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। আমি সব উল্লেখ করতে চাই না। এটি একটি গুরুতর বিষয়। সাংবাদিকরা যদি এমন একটি রাজ্যে নিরাপদ বোধ না করেন যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় ৷" মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, এমনকী পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের 'বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা'র গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছিল। আর সেই খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও নিরাপদে ছিলেন না ৷

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে দাবি করে মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যকে তাদের রাজ্যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক 20 অক্টোবর 2017 সালে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। এমনকী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বলেও জানান তিনি।

(পিটিআই)

আরও পড়ুন:

নয়াদিল্লি, 21 ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের উপর ক্রমাগত হামলার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ একই সঙ্গে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে বিশেষ অনুরোধও করেছেন। এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, "আইনশৃঙ্খলা রাষ্ট্রীয় বিষয় ৷ রাজ্য সরকারের উচিত গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।"

অনুরাগ ঠাকুর রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের তোলা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন এদিন ৷ যদিও সাসপেন্ড হওয়ার জেরে তৃণমূল সাংসদ হাউসে উপস্থিত ছিলেন না। যদিও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের তরফে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সেই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "প্রশ্নটি পশ্চিমবঙ্গের একজন সাংসদ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যিনি হাউসে নেই। একটি নির্দিষ্ট রাজ্যকে নির্দেশ করতে আমার অস্বস্তি হচ্ছে ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং সাংবাদিকদের উপর মারাত্মক হামলার খবরও পাওয়া গিয়েছে। তারা নিরাপদ বোধ করছেন না রাজ্যে এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ৷"

রীতিমতো পরিসংখ্য়ান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "2015 সালের অক্টোবরে নির্বাচনের দিন প্রায় 20 জন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল ৷ তাদের কারও মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কারও ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। 2022 সালের ফেব্রুয়ারিতে দমদম এবং মেদিনীপুরে চার সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল।" এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী সদনে আরও বলেন, "2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় প্রায় 10 জন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছিল। জুন মাসে উত্তর 24 পরগনায় তিনজন ফটোগ্রাফারকে মারধর করা হয়েছিল।"

এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "আমার কাছে সাংবাদিকের উপর হামলার একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। আমি সব উল্লেখ করতে চাই না। এটি একটি গুরুতর বিষয়। সাংবাদিকরা যদি এমন একটি রাজ্যে নিরাপদ বোধ না করেন যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় ৷" মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, এমনকী পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের 'বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা'র গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছিল। আর সেই খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও নিরাপদে ছিলেন না ৷

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে দাবি করে মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যকে তাদের রাজ্যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক 20 অক্টোবর 2017 সালে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। এমনকী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বলেও জানান তিনি।

(পিটিআই)

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.