পোর্ট ব্লেয়ার, 14 নভেম্বর: গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার হলেন এক ব্যবসায়ী ৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছে আন্দামান ও নিকোবর (Andaman and Nicobar) পুলিশ ৷ হরিয়ানা (Haryana) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁকে ধরে দেওয়ার জন্য 1 লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সোমবার পুলিশের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে ৷
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তির নাম সন্দীপ সিং ওরফে রিঙ্কু ৷ রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন ৷ শেষে ব্য়াংক লেনদেনের সূত্র ধরে হরিয়ানা থেকে তাঁকে ধরা হয় ৷ তাঁকে ধরার অভিযানে আন্দামান ও নিকোবর পুলিশকে সাহায্য করেছে দিল্লি (Delhi) ও হরিয়ানার পুলিশ ৷ তবে তাঁকে কোথা থেকে ধরা হয়েছে, তা জানানো হয়নি ৷
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় আগেই অনেক হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের নাম জড়িয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছেন আরএল ঋষি ও জিতেন্দ্র নারাইন নামে দু’জন ৷ ঋষি শ্রম কমিশনার ৷ আর নারাইন ঘটনার সময় ছিলেন আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্যসচিব ৷ কিন্তু অভিযোগ দায়েরের সময় তিনি ছিলেন দিল্লির অর্থ নিগমের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷
গত 1 অক্টোবর গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন 21 বছরের এক তরুণী (Young Woman Allegedly Raped) ৷ তাঁর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁকে মুখ্যসচিবের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার পর সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে একাধিক ব্যক্তি ৷ সেই তালিকায় নারাইনও ছিল ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে ৷ গ্রেফতার করা হয় নারাইনকে ৷ সরকারি তরফে গত 17 অক্টোবর নারাইনকে সাসপেন্ডও করা হয় ৷ কিন্তু রিঙ্কু ও ঋষিকে পুলিশ ধরতে পারেনি ৷ গত 2 নভেম্বর এই দুই পলাতককে ধরে দিতে পারলে 1 লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয় ৷
এই ঘোষণার 12 দিন পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন রিঙ্কু ৷ এফআইআর অনুযায়ী, তিনি ছিলেন এই গণধর্ষণে মূল্য সাহায্যকারী ৷ এদিকে ঋষি এখনও পলাতক৷ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: 'দোষ' কাটাতে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ! পুলিশের জালে অভিযুক্ত শিক্ষক, পরামর্শদাতা তান্ত্রিক