চণ্ডীগড়, 21 মার্চ: যে গাড়িতে 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' নেতা অমৃতপাল সিং পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল, তা উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ পালিয়ে যাওয়ার সময় জলন্ধর জেলার নাঙ্গাল আম্বিয়ান গ্রামের (Nangal Ambiana) একটি গুরুদ্বারে (Gurdwara) গিয়েছিলেন অমৃতপাল ৷ এমনকি পুলিশ সূত্রে খবর, পালানোর আগে সে পোশাকও পরিবর্তন করেছিলেন ৷ যদিও অমৃতপালের এখনও কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ ৷ তবে অমৃতপালের 'লুক চেঞ্জ' ছবি প্রকাশ করেছে পঞ্জাব পুলিশ ৷
বৃহস্পতিবার পঞ্জাব পুলিশের আইজি সুখচৈন সিং গিল বলেন, "অমৃতপাল সিংকে পালাতে মোট চারজন সাহায্য করেছিল ৷ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে ।" খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতারের সুবিধার জন্য পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) এদিন তাঁর ছবিও প্রকাশ করেছে । গিল বলেন, “বিভিন্ন পোশাকে অমৃতপাল সিংয়ের বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে আমাদের কাছে । আমরা এই সমস্ত ছবিই প্রকাশ করেছি ৷”
পুলিশের প্রকাশ করা একটি ছবিতে অমৃতপাল সিংকে দাড়ি-গোফ কামানো অবস্থাতেও দেখা যাচ্ছে ৷ এদিন পুলিশ দাবি করেছে, যে ব্রেজা গাড়ি করে অমৃতপাল পালিয়ে গিয়েছিল সেটির পাশাপাশি যে চারজন তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছিল, তাদেরও আটক করেছে পুলিশ ৷ এদিন পঞ্জাব পুলিশের আইজি আরও জানান, "প্রধান অভিযুক্ত অমৃতপাল সিংকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি ৷ তবে পুলিশ আইন অনুযায়ী নিজের কাজ করছে।" সেইসঙ্গে, অমৃতপালের চারজন সঙ্গীকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ ইডি'র, নাম রয়েছে কুন্তলের
গিল বলেন, "অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এ মামলা রুজু হয়েছে ৷ গত 18 মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে ।" সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, পঞ্জাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে | রাজ্যে শান্তিও বজায় আছে । এর আগে পঞ্জাব সরকার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে জানিয়েছিল, অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিনোদ ঘাই হাইকোর্টে জানান, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' নেতার খোঁজ চলছে । আদালতে বিনোদ ঘাই বলেন, "অমৃতপাল পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সশস্ত্র ছিল ৷ কিন্তু শক্তি প্রয়োগ করা থেকে তারা বিরত ছিল । কিছু বিষয় এতই স্পর্শকাতর যে আদালতে ব্যাখ্যা করা যায় না ।" এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট 114 জনকে গ্রেফতার করেছে ৷