প্রয়াগরাজ, 2 জুন: গোমাংস নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার আদালত একটি আদেশে জানিয়েছে যে যতক্ষণ না উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া পাচ্ছ, ততক্ষণ গোমাংস রাখা, তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া, তা বিক্রিকে গোহত্যা বিরোধী আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না ৷
উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের পুরানপুর এলাকার বাসিন্দা ইব্রান ওরফে শেরুর জামিনের আবেদন গ্রহণ করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিক্রম ডি চৌহান এই আদেশ দেন ৷ আদালত জানিয়েছে যে প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে উদ্ধার হওয়া উপাদান গরুর মাংসই ছিল । আবেদনকারীর পক্ষে বলা হয়, তিনি একজন চিত্রশিল্পী এবং যখন অভিযান চালানো হয়, তখন তিনি বাড়িতে রং করার কাজ করছিলেন । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্য কোনও প্রমাণ নেই ।
আবেদনকারীর দাবি, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । গরুর মাংস বা এর পণ্য বা পরিবহণের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই । এর বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী যুক্তি দেন যে উদ্ধারকৃত মাংস গরুর এবং আবেদনকারীর বাড়ি থেকে তা উদ্ধার করা হয়েছিল । তাই তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য নন ।
আরও পড়ুন: সরকারি খরচে ধর্মীয় শিক্ষা কেন ? প্রশ্ন তুলে জবাব তলব আদালতের
যদিও ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে আদালত আবেদনকারীকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন । পিলভিটের পুরানপুর থানায় গোহত্যা আইনের অধীনে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় । তার প্রেক্ষিতেই জামিনের আবেদন করেন শেরু৷ অবশেষে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পেলেন ৷