প্রয়াগরাজ, 1 এপ্রিল: সরকারি খরচে কেন ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হবে ? এই প্রশ্ন তুলে দুই সরকারের কাছে জবাব তলব করল উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ আদালতের প্রশ্ন, রাজকোষের অর্থ ব্যয় করে কেন পড়ুয়াদের ধর্ম সংক্রান্ত পাঠ দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করুক সরকার পক্ষ ৷ এই মর্মে হাইকোর্টের তরফ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আদালতে হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসাগুলিতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় পাঠও দেওয়া হয় ৷ আজাজ আহমেদ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের রুজু করা একটি মামলায় এই প্রসঙ্গটি ওঠে ৷ সেই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ডি কে সিংয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, মাদ্রাসাগুলিতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি যে ধর্মীয় শিক্ষাও দেওয়া হয়, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই ৷ গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মামলায় এই পর্যবেক্ষণ করে আদালত ৷ তার ভিত্তিতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সরকারি খরচে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে চান বিচারপতি ৷
এই বিষয়ে দুই সরকারের কাছে নির্দিষ্টভাবে কিছু প্রশ্ন তুলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ যেমন- আদলত জানতে চেয়েছে, এভাবে সরকারি খরচে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হলে তাতে কি সংবিধানের নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করা হয় ? আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্য়ে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে আদালত ৷ হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে যে হলফনামা দেওয়া হবে, তা সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের সচিবকে আদালতে পেশ করতে হবে ৷ অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে হলফনামা জমা দেবেন রাজ্যের সংখ্যালঘুকল্য়াণ ও ওয়াকফ বিভাগের প্রধান সচিব ৷
আরও পড়ুন: লখনউয়ের মাদ্রাসায় বিষয় হিসেবে যোগ হচ্ছে ‘ভারতের সংবিধান’
প্রসঙ্গত, যে মামলা ঘিরে এই ঘটনাক্রম শুরু হয়, সেটি এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বেতন সংক্রান্ত আবেদন ছিল ৷ মামলাকারী জুনপুরের শুদনিপুর এলাকার সমদনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় পড়ান ৷ এই মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যতদিন পর্যন্ত মামলার শুনানি চলবে, ততদিন সরকারের কাছ থেকে আসা তহবিলের টাকা থেকেই ওই শিক্ষককে বেতন দেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানির হবে ছয় সপ্তাহ পর ৷