কুলটি, 19 অক্টোবর : ছোট্ট একটা টুকরো টালির ঘর, সেখানেই ছোট করে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন । ছোট মাটির প্রতিমা, দেওয়া হচ্ছে আলপনা, টাঙানো হচ্ছে আমপল্লব, ধানের শিস । চিরপরিচিত গান বাজছে, 'এসো মা লক্ষ্মী বোসো ঘরে ।' না, কারও বাড়ির লক্ষ্মীপুজো নয়। একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আট মহিলা মিলে এই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছেন ৷ কুলটির মিঠানী গ্রামের স্কুল পাড়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই পুজোর উদ্যোক্তা ।
কিন্তু কেন হঠাৎ এমন সম্মিলিত পুজোর আয়োজন কেন ? মহিলারা জানালেন, আগে সবাই নিজের নিজের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করতেন । কিন্তু এবার এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার । আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সেই টাকা থেকে অল্প করে টাকা চাঁদা দিয়েই এই সম্মিলিত পুজোর আয়োজন করেছেন তাঁরা । কুলটির এই গ্রামের বেশীর ভাগ মহিলারাই দুঃস্থ পরিবারের । স্বামীর দিনমজুরির আয়ে সংসার চলে । স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রকল্প তাদের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে । তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাঁদের কাছে নতুন দিন এনে দিয়েছে । আর সেই আনন্দেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন । গৃহবধু সুষমা বাউরি, রিনা বাউরিরা জানালেন, “আগে বাড়িতে ছোট ক’রে লক্ষ্মীপুজো করতাম আমরা । এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাতে কিছু করে টাকা এসেছে । সেখান থেকেই চাঁদা দিয়ে একসঙ্গে পুজোর আয়োজন করা, পুজোর ভোগ খাওয়া, সব মিলে আমাদের অন্যরকম পুজো এবার।”
আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi Vadra : 40 শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী, যোগীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার অস্ত্র নারীশক্তি
তবে ওই পাড়াতেই এমন কি মিঠানী গ্রামের অনেকেই এখনও এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। অনেকেই আবার তপশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত হয়েও 500 টাকা করে ভাতা পেয়েছেন । যেখানে ভাতা পাওয়ার কথা 1000 টাকা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বাউরি জানালেন, “রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করব, সবাইকে যেন এই প্রকল্পের আওতায় এনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় । আর যাদের কম ভাতা এসেছে, বা যারা জাতিগত শংসাপত্র জমা করতে পারেননি, তাদের যেন সংশোধনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।"
আরও পড়ুন : Kedarnath : কেদারনাথে বেড়াতে গিয়ে আটকে আট বাঙালি পর্যটক