নয়াদিল্লি, 3 অক্টোবর: ভারতীয় বায়ুসেনা আগামী সাত-আট বছরে আড়াই থেকে তিন লক্ষ কোটি টাকার সামরিক প্ল্যাটফর্ম, সরঞ্জাম এবং হার্ডওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে, মঙ্গলবার এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এই কথাই জানিয়েছেন ৷ বায়ুসেনা দিবসের আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তিনি ৷ সেখানে বায়ুসেনা প্রধান আরও জানান, বায়ুসেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি বরাবর পরিস্থিতি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছে ৷ বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে বাড়তি নজরদারি চলছে ৷
তিনি জানান, বায়ুসেনা 97টি হালকা যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক ওয়ান-এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে । এছাড়া রাশিয়া থেকে এস-400 মিসাইল সিস্টেমের তিনটি ইউনিট এসেছে ৷ বাকি দু’টি আগামী বছরের মধ্যে পাওয়ার আশা করছে বায়ুসেনা ।
আইএএফ প্রধান আরও জানান, অনিশ্চিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরদার করেছে৷ বায়ুসেনা ভারতের সামরিক শক্তিকে প্রজেক্ট করার জন্য একটি ভিত্তি হিসাবে থাকবে । তাছাড়া বায়ুসেনা অগ্নিপথ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সবরকম পরিকল্পনা নিয়েছে বলে তিনি জানান ৷
সম্প্রতি বায়ুসেনার তরফে উত্তর পূর্ব ভারতে এস-400 এয়ার ডিফেন্স স্কোয়াড্রানের অনুশীলন করে তা সক্রিয় করা হয় ৷ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম 400 কিলোমিটার দূরত্ব থেকে শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণকে ব্যর্থ করতে সক্ষম ৷ এই অনুশীলনে অন্যান্য বিমানের সঙ্গে রাফালে এবং সুখোই-30 যুদ্ধবিমান-সহ বায়ুসেনার প্রধান যুদ্ধ সম্পদগুলিকে অংশগ্রহণ করানো হয় ৷
এছাড়া সিকিম ও শিলিগুড়ি করিডোর সেক্টরে প্রতিপক্ষের কার্যকলাপ নিরীক্ষণের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বায়ুসেনা সম্প্রতি উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যান্য ঘাঁটি থেকে ড্রোনের স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছে ।
আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হাতে এল এয়ারবাসের তৈরি প্রথম সামরিক বিমান সি-295