পটনা, 19 ফেব্রুয়ারি : 2008 সালের আমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় 38 জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বিশেষ আদালত (Ahmedabad blasts court order) ৷ সেই তালিকায় রয়েছে তৌসিফ পাঠানও ৷ সে এখন বিহারের গয়ায় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ৷ ওই বিস্ফোরণে সে-ই ছিল মূলচক্রী ৷
সাজা শোনানোর পর গয়ার কারাগার থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিল তৌসিফ (Ahmedabad serial blasts mastermind Taushif Pathan) ৷ সাজা শোনার পর কার্যত ভেঙে পড়ে সে ৷ একটি সূত্র থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ এদিকে গয়া কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার বিজয়কুমার অরোরা জানিয়েছেন, সেখানকার নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷
আমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ (2008 Ahmedabad serial blasts) ঘটানোর পরই গয়ায় পালিয়ে আসে তৌসিফ ৷ সেখানকার রাজেন্দ্র আশ্রম এলাকায় ভাড়া থাকতে শুরু করে ৷ কয়েকমাস চুপচাপ থাকার নতুন সদস্যদের নিয়ে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া সংগঠন স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (Students Islamic Movement of India) বা সিমি-র (SIMI) হয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরি শুরু করে ৷ তদন্তে নেমে এই তথ্যগুলিই উঠে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে ৷
তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে একটি সাইবার ক্যাফে থেকে বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করতে শুরু করে পাঠান ৷ ওই সাইবার ক্যাফের মালিক অনুরাগ বসু প্রথম বিষয়টি টের পান ৷ তার পর কিছু তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে তিনি পুলিশে খবর দেন ৷ 2017 সালের 15 সেপ্টেম্বর পুলিশ তৌসিফকে গ্রেফতার করে ৷
আমেদাবাদ পুলিশ গয়ায় গিয়ে টানা 12 দিন জেরা করে তৌসিফকে ৷ তারপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় আমেদাবাদে ৷ ওই বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত শেষের পর 2020-র 9 মার্চ তাকে গয়ার জেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তারপর থেকে সেখানেই আছে তৌসিফ ৷ তার বিরুদ্ধে গয়া পুলিশও প্রতারণা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করেছে ৷
আরও পড়ুন : Ahmedabad Blasts Case : আমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় 38 জনকে প্রাণদণ্ড দিল আদালত