চম্পারণ (বিহার), 16 ডিসেম্বর: বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার মেহসি থানা এলাকায় এক যুবককে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা যুবককের মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ৷ শনিবার সকালের এই ভয়াবহ ঘটনায় স্তব্ধ মেহসির ওঝিলপুর গ্রাম ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে ৷ মেহসি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ ঘটনায় 6 জনের নাম উল্লেখ করেছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ পুলিশ এই 6 জনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নগেন্দ্র সাহানি ওঝিলপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ রাতে নগেন্দ্র বাড়ির গোয়ালে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু, সকালবেলা অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও গোয়াল থেকে ফেরেননি নগেন্দ্র ৷ এরপর বাড়ির লোকজন তাঁকে ডাকতে গেলে ভয়াবহ দৃশ্য নজরে আসে পরিবারের ৷ গোয়ালে নগেন্দ্র সাহানির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হয়ে যায় ৷ ততক্ষণে পুলিশেও খবর দেওয়া হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, নগেন্দ্র সাহানির চোখ উপড়ে নেওয়া হয় ৷ এমনকী তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া গিয়েছে এবং মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে ৷ দেহ ময়ানতদন্তে পাঠানোর পর, প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, নগেন্দ্রর চোখ উপড়ে নিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয় ৷ সবশেষে মৃত্যু নিশ্চিত করতে করা হয় মাথায় গুলি ৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে এত নৃশংসভাবে নগেন্দ্রকে কেন খুন করা হল ৷ আর পরিবার বা আশেপাশের কেউ টের পেলেন না কীভাবে ? ঘটনার ব্যাপকতা দেখে পুলিশের অনুমান অনেকে মিলে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে ৷ আর গুলির শব্দ কীভাবে কেউ শুনতে পেলেন না ? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ৷
নগেন্দ্র সাহানির পরিবার মেহসি থানায় খুনের মামলা রুজু করেছে ৷ পরিবারের তরফে মোট 6 জনের নাম পুলিশকে জানিয়েছে নগেন্দ্রর পরিবার ৷ ওই ছ’জনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ পরিবারের সদস্যদেরও প্রশ্ন করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: