হরিদ্বার, 17 এপ্রিল : প্রধানমন্ত্রী আবেদন করতেই টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের ৷ করোনা আবহে কুম্ভমেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ৷ অতিমারির প্রকোপ রুখতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে ৷
করোনা আবহে কুম্ভমেলার আয়োজন আর সেখানে পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, তাঁদের পুণ্যস্নান ৷ এসব দেখে উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলের ৷ সকলেই মনে করছেন, এর ফলে এক ধাক্কায় অনেক গুণ বাড়বে সংক্রমণ ৷ পরিস্থিতি হয়তো এমন জায়গা চলে যাবে, যা আর সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না ৷
এমন একটা ভয়াবহ প্রেক্ষাপটেই কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণকারী 30 জনেরও বেশি সাধুর শরীরে কোভিড-19 ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে ৷ বিপদ বুঝে মেলা বন্ধে সায় দেয় হিন্দু আখরাগুলি ৷ কিন্তু তারপরই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা ৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মেলা চলবে ঘোষিত নির্ঘণ্ট মেনেই ৷
পরিস্থিতি সঙ্কটজনক বুঝে শেষমেশ গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৷ জুনা আখরার প্রধান স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি ৷ পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, অতিমারি রুখতে কুম্ভমেলাকে ‘‘প্রতীকী’’ হিসাবে পালন করাই শ্রেয় ৷
আরও পড়ুন : করোনা সংক্রমণ বাগে আনতে ‘‘প্রতীকী’’ কুম্ভমেলা পালনের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ স্বামী অবধেশানন্দ গিরি ঘোষণা করেন, একমাস ব্য়াপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হচ্ছে সময়ের আগেই ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয়দের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ৷ করোনার কথা মাথায় রেখেই আমরা ইতিমধ্যে সব দেবদেবীর বিসর্যন দিয়েছি ৷ এখানেই শেষ হচ্ছে কুম্ভমেলা ৷’’