নয়াদিল্লি, 8 সেপ্টেম্বর: দেশে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে উচ্ছ্বসিত 'ইন্ডিয়া' জোট ৷ কংগ্রেস শুক্রবার জানিয়েছে, ছ’টি রাজ্যের সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে চারজন 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রার্থীর জয় প্রমাণ করে যে, জনগণ বিজেপির বিকল্প হিসাবে বিরোধী জোটকেই বকলমে গ্রহণ করেছে ।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপনেতা প্রমোদ তিওয়ারি জানান, উপনির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলগুলি 2024 লোকসভা নির্বাচনের একটি ট্রেলার মাত্র ৷ তাঁর স্পষ্ট দাবি, আগামী লোকসভা ভোটে সমস্ত দেশজুড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এই 'ইন্ডিয়া' জোট । তিনি বলেন, "সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সুধাকর সিংয়ের ব্যাপক জয় নিশ্চিত করছে এবং আমি দাবি করছি, জোটের প্রার্থী প্রতিটি আসনে 50 শতাংশের বেশি ভোট পাবেন ৷"
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র বিরুদ্ধে 'ইন্ডিয়া' জোটের কাছে অ্যাসিড টেস্টের সমান ছিল এই উপনির্বাচনগুলি ৷ গত 5 সেপ্টেম্বর যে সাতটি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছিল তার গণনা হয় এদিন ৷ এই উপনির্বাচনের ফলাফলগুলি আসন্ন চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং 2024-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । কারণ হিসাবে বিরোধীদের দাবি, তারা সাতটি আসনের মধ্যে চারটিতেই জয়লাভ করতে পেরেছে ৷ যেখানে বিজেপি তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে ।
আর এরপরই মুখ খুলেছে কংগ্রেস ৷ কংগ্রেসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "এই জয় 'ইন্ডিয়া'র জয় ৷ যারা এখন পর্যন্ত সন্দেহের মধ্যে ছিল তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠবে এবার ৷ 'ইন্ডিয়া' জোটকে জয়ী করতে তাদের সর্বস্ব দিয়ে দেবে ৷ দেশের গণতন্ত্র রক্ষা এবং স্বৈরাচারকে পরাজিত করাই লক্ষ্য ৷" এদিন ছয়টি রাজ্যের সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল বিজেপি এবং বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৷ ফলাফলে দেখা যায় গেরুয়া শিবির তিনটি আসনে জয়লাভ করে ৷ অন্যদিকে, একটি করে কংগ্রেস, জেএমএম, তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা মোট চারটি আসনে জিতেছে।
বিজেপি উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর বিধানসভা আসন এবং ত্রিপুরার ধনপুর ধরে রাখতে পেরেছে ৷ অন্যদিকে, ত্রিপুরাতেই সিপিএম-এর হাত থেকে বক্সানগর বিধানসভা আসনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি ৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরেছে বিজেপি ৷ রাজ্যসভা কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "দেশের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির বক্তব্য, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, জালিয়াতি, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা, মুল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং দুর্নীতিতে সম্পূর্ণ নাজেহাল এবং বিরক্ত। জনগণ বিকল্প খুঁজছিল ৷ সেই বিকল্পই 'ইন্ডিয়া' জোট ৷ এই জোটের আকারেই জনতা বিজেপির বিকল্প খুঁজে পেয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বললেন মমতা, অভিনন্দন জানালেন 'ইন্ডিয়া' জোটকে
কংগ্রেস সাংসদের দাবি, মির্জাপুর, বেরেলি এবং জালাউন এবং লখনউতে জেলা পঞ্চায়েত সদস্যদের জন্য অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জোট প্রার্থীদের জয় এবং বিজেপির পরাজয় প্রমাণ করে যে, বিজেপি পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণ থেকে কার্যত মুছে গিয়েছে ৷