কলকাতা, 13 মে: 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারে কংগ্রেসই । কংগ্রেসের নেতৃত্বে 'সাম্প্রদায়িক' বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে সরানো হবে । কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠটা পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী শনিবার নয়াদিল্লিতে এমনটাই দাবি করলেন । তাঁর কথা অনুযায়ী, কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ে অকংগ্রেসী ও অবিজেপি ফ্রন্ট অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল ৷ আবার বিরোধী ফ্রন্টে চালিকাশক্তি কংগ্রেস ৷
অধীর দাবি করেছেন, "ভারতবর্ষে আজ দুটো শিবির । এক, সাম্প্রদায়িক বিজেপির নেতৃত্বে একটা শিবির । আরেক দিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ শিবির । মাঝখানে কিছু নেই । থাকবেও না ।"
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন জাতীয়তস্তরে জোট নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার সময় এখনও আসেনি । এই প্রসঙ্গেই মমতার কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী । তিনি বলেন, "জোট নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই । আমরা আলোচনা করতে যাইনি । এর আগে অনেকবার দিদি দিল্লিতে এসেছিলেন । জোটের বিরোধিতা করতে । জোট করতে নয় । আমরা যখন জোট করে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনকড়ের বিরোধিতা করেছিলাম, তখন কিন্তু উনি বিরোধিতা করেননি, ওঁর দলের সংসদরা সরে দাঁড়িয়েছিলেন । পার্লামেন্টের ভিতরে জোট করার জন্য যখন আমরা সকলকে সামিল হওয়ার আহব্বান জানিয়েছিলাম, তখন উনি বলেছিলেন না আমরা করব না ।"
অধীর আরও বলেন, "দিল্লি এলেই অহংকার বেড়ে যায় । এই সোনিয়া গান্ধির ঘর থেকেই তুমি নেত্রী হয়েছো । তোমার জোটের কথা বলতে হবে না । তোমার দলের যাঁরা এমপি আছেন, আগামিদিনে নির্বাচিত হতে গেলে তাঁদের কংগ্রেসে আসতে হবেই । পুনরায় জনপ্রতিনিধি হতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে থেকে হতে পারবেন না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে আজ দুটো শিবির । এক, সাম্প্রদায়িক বিজেপির নেতৃত্বে একটা শিবির । আরেক দিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ শিবির । মাঝখানে কিছু নেই । থাকবেও না । যে যতই বড় বাতেলা মারুক । হয় সাম্প্রদায়িক শিবির । না হয় ধর্মনিরপেক্ষ শিবির । আগামী দিনে আঞ্চলিক ভোট নয়, লোকসভা নির্বাচন আসছে। সেই নির্বাচনে দুটো শিবির থাকবে । লিখে দিলাম ।"
রাহুল গান্ধির নেতৃত্ব নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন, তাঁদেরকে নিশানা করেন অধীর । দাক্ষিণাত্যের এই জয় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় সংস্কৃতি ও বিজেপি বিরোধী ক্যাম্পেন সেখানকার কংগ্রেস নেতৃত্ব করেছিল, তারই সাফল্য বলে দাবি করেছেন অধীর । শুধু তাই নয়, সমগ্র দেশজুড়ে যে সাম্প্রদায়িক হিংসা বা ঝামেলা সৃষ্টি করছে, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলে অধীর দাবি করেন ।
আরও পড়ুন: 'কর্ণাটকে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে গরিবের শক্তির জয়', বিজেপি 'সাফ' করে প্রতিক্রিয়া রাহুলের