নয়াদিল্লি, 26 সেপ্টেম্বর: বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ডিজিটাল আইডি হল আধার। সোমবার এমনটাই দাবি করছে ইউআইডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া ) । এরআগে মুডিজের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় ৷ তাতে পরিচয় পত্র হিসাবে আধার কার্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তার জবাবে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, 'আধার হল বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র।'
রেটিং সমীক্ষার অন্যতম নামি প্রতিষ্ঠান মুডিজ ইনভেস্টার্স সার্ভিস সদ্য তার এক রিপোর্টে আধার-এর নির্ভর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। মুডিজ তার রিপোর্টে বলছে, "এই আধার পরিষেবা এবং বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি-নির্ভরতা গ্রীষ্মকালীন ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বসবাসকারী কায়িক শ্রমিকদের জন্য আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।" মুডিজ-এর সেই দাবিকে 'ভিত্তিহীন' বলে বিবৃতি দিল ভারত সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে মুডিজ যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটি কোনও উদ্ধৃতি ছাড়াই প্রাথমিক অথবা সেকেন্ডারি তথ্য বা গবেষণার ভিত্তিতে করা ৷
মুডিজ-এর রিপোর্টে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি বাস্তবিক প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের মতো গরম, আর্দ্র জলবায়ুতে কায়িক পরিশ্রমী শ্রমিকদের উপস্থিতি বা অন্যান্য বিষয় বায়োমেট্রিক্সের মাধ্যমে আধার যাচাই করা অনেক সময়ই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এপ্রসঙ্গে ভারতের মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের (মনরেগা) কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, রিপোর্টের লেখকেরা জানেন না যে মনরেগা ডাটাবেসে আধার সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রান্তিক কর্মীরা অন্য কোনও প্রমাণ ছাড়া কেবল তাঁদের বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করেই প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা পান।
এমনকী কেবল বায়োমেট্রিক্স ব্যবহারের মাধ্যমেই প্রকল্পের অর্থ সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। নয়তো প্রাথমিক পরিচয়ের নথি হিসাবে আধার নির্ভরযোগ্য না-হলে জনসাধারণের কাছে এই আধারের মাধ্যমে যে সুবিধা সরকারের তরফে পৌঁছায়, সেই ধারায় সমস্যা হতে পারত। ফলে সেই জায়গা থেকে মুডিজের রিপোর্ট উদ্বেগ তৈরি করেছিল । এবার মুডিজের দাবির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে জানাল কেন্দ্র ৷
আরও পড়ুন: অবৈধ আধার কার্ড খোঁজার নামে ফের এনআরসি আনতে চায় বিজেপি, অভিযোগ মমতার