নয়াদিল্লি, 29 অক্টোবর: সেন্ট্রাল নয়ডায় ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ফুড ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে পুলিশের শুটআউট ৷ অভিযোগ গ্রেফতার করে থানায় আনার সময় অভিযুক্ত যুবক পুলিশের সার্ভিস পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান ৷ তাঁকে ধরতে গেলে বিসরাখ পুলিশ ও সোয়াট টিমের সঙ্গে তাঁর গুলির লড়াই চলে ৷ তবে, পুলিশ অভিযুক্তের পায়ে গুলি মেরে তাকে কাবু করে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্তমানে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য ৷ অভিযুক্তের নাম সুমিত বলে জানিয়েছেন সেন্ট্রাল নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি ৷
এই ঘটনা নিয়ে সেন্ট্রাল নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি হিরদেশ কাটারিয়া বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিসরাখ থানার পুলিশ খয়েরপুরে পৌঁছায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে ৷ কিন্তু, সুমিত নামে ওই যুবক সাব ইন্সপেক্টর ভরত সিংয়ের সার্ভিস পিস্তল নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এর পর বিসরাখ পুলিশ ও সোয়াট টিম যৌথভাবে নয়ডার 3 নম্বর সেক্টরের কাছে চিরুনিতল্লাসি শুরু করে ৷ সেখানে আত্মগোপন করে থাকা অভিযুক্ত সরকারি পিস্তল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ পুলিশের পালটা গুলিতে অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগে ৷ পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷’’
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের বড় ভাই মনোজের নামে বদলপুর থানায় অভিযোগ রয়েছে ৷ এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ অবৈধ মদ বিক্রির দায়ে অতীতে জেল খেটেছে ধৃত ফুড ডেলিভারি বয় সুমিত ৷
আরও পড়ুন: 6 বছরের মেয়ের সামনে মহিলাকে অপহরণ করে 20 দিন ধরে ধর্ষণ !
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ডেলিভারি বয়ের কাজ করা সুমিতের বিরুদ্ধে ৷ সেন্ট্রাল নয়ডার বিসরাখ থানা এলাকার একটি অভিজাত হাউসিং সোসাইটিতে ঘটনাটি ঘটে ৷ ঘটনায় আক্রান্তকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ছিল ৷ সেন্ট্রাল নয়ডার অতিরিক্ত ডিসিপি হিরদেশ কাটারিয়া জানিয়ে ছিলেন, আক্রান্ত যুবতীর অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকালে তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন ৷ সেই কারণে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিলেন ৷ সেই খাবার দিতে এসে ডেলিভারি বয় তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করেন ৷
আরও পড়ুন: লিফট দেওয়ার নাম করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, তদন্তে পুলিশ
অভিযোগ যুবতী দরজা খুলতেই তাঁর হাত ধরে টানতে শুরু করে অভিযুক্ত ৷ তিনি প্রতিবাদ করায় তাঁকে ধাক্কাও মারে ৷ এর পর হঠাৎই হিংস্রভাবে তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে ওই ডেলিভারি বয় ৷ আক্রান্ত ওই যুবতীর অভিযোগ ছিল, তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৷ জানা যায়, আবাসনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে সিকিউরিটি অ্যালার্ম রয়েছে ৷ যুবতী সেই অ্যালার্ম বাজিয়ে দেন ৷ আর চিৎকার শুনে আশেপাশের ফ্ল্যাট থেকেও লোকজন ছুটে আসেন ৷ লোকজনকে আসতে দেখে অভিযুক্ত ডেলিভারি বয় সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছিলেন আক্রান্ত যুবতী ৷