শিলং, 16 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি আর অসমের পুতুল হয়ে গিয়েছেন ৷ শাসকদল এনপিপির নেতা কনরাড সাংমা নিজের আসনটিও হারাবেন আসন্ন নির্বাচনে ৷ গারোর পাহাড়ি এলাকা থেকে মুছে যাবে এনপিপি ৷ বর্তমানে গারো পাহাড়ে এপিপি-র 24টি আসন আছে ৷ বুধবার মেঘালয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে দক্ষিণ তুরা এলাকায় এক জনসভায় এভাবেই কনরাড সাংমাকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা ৷ প্রসঙ্গত এই জনসভায় অভিষেক জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 22 ফেব্রুয়ারি মেঘালয় সফরে আসবেন (Abhishek Banerjee in Meghalaya Election Campaign) ৷
আজ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ৷ 27 ফেব্রুয়ারি মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে নির্বাচন ৷ তার আগে শেষ মুহূর্তে প্রচার প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ মেঘালয় ও অসমের মধ্যে সীমানা বিভাজন নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে ৷ দু'রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গটি না-উল্লেখ করলেও বিজেপিকে কটাক্ষ করে জনসভায় অভিষেক বলেন, "মেঘালয় কেন অসম আর দিল্লির কাছে মাথা নত করবে ?" তাঁর মতে, মেঘালয় উত্তর-পূর্বের অংশ নয়, বরং পূর্ব ভারতের অংশ ৷ তিনি বলেন, "সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে ৷ তাই দেশের উন্নয়নও পূর্ব দিক অর্থাৎ মেঘালয় থেকে শুরু হওয়া উচিত ৷"
আরও পড়ুন: 'ভূমিপুত্ররাই শাসন করবে মেঘালয়', বিজেপি'কে বিঁধে ঘোষণা দৃপ্ত মমতার
গত বছরে দুই রাজ্যের সীমানায় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং তা ভয়াবহ আকার নেয় ৷ মুখরো গ্রামে অসম পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন নাগরিকের প্রাণ গিয়েছিল ৷ এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সাংসদ মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে দায়ী করেন । তিনি বলেন, "রাজ্যের নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে ৷ তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব কি মুখ্যমন্ত্রীর নয় ? এই ঘটনার পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা উচিত ছিল ৷" এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসম, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা বণ্টনের উদাহরণ টানেন ৷ অভিষেকর দাবি, "বাংলায় আমাদের মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর হিম্মত কারও নেই ৷ কারণ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন ৷" তৃণমূল সুপ্রিমো অসম-মেঘালয় সীমানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন ৷
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা একাধিক বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন অভিষেক ৷ তাঁর কথায়, "গুলি চালানোর ঘটনায় কনরাড সাংমা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলেননি ৷ তাঁর উচিত ছিল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো ৷ কিন্তু তিনি তা করেননি ৷ কারণ তিনি ভালো করে জানেন, একটা কথা বললেই তাঁকে ইডি বা সিবিআই নোটিশ পাঠাবে ৷ এর পিছনে রয়েছে তাঁর আইন-বহির্ভূত ব্যবসা ৷" সেই স্বার্থে রাজ্যের মানুষের প্রাণের বদলে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে ছিলেন ৷
আরও পড়ুন: 'মেঘালয়ে সোনালী দিন ফিরিয়ে আনবে তৃণমূলই', প্রতিশ্রুতি অভিষেকের