ETV Bharat / bharat

PMs Security Breach: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে শীঘ্রই রিপোর্ট দেবে পঞ্জাব সরকার, জানালেন আপ সাংসদ

author img

By

Published : Mar 13, 2023, 3:23 PM IST

2022 সালের 5 জানুয়ারি পঞ্জাব সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PMs Security Breach) ৷ খারাপ আবহাওয়ার কারণে তিনি সড়ক পথে গন্তব্য়ে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় বিক্ষোভের জেরে তাঁর কনভয় 20 মিনিট আটকে যায় ৷ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফলতির অভিযোগে সেই সময় বিদ্ধ হতে হয় কংগ্রেসকে ৷

PMs Security Breach
PMs Security Breach

চণ্ডীগড়, 13 মার্চ: 2022 সালের 5 জানুয়ারি পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নিরাপত্তায় গাফিলতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ এই নিয়ে শীঘ্রই পঞ্জাবের সরকার (Punjab Government) কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পেশ করবে ৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, লোকসভায় আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা (AAP PM Raghav Chadha) ৷ উল্লেখ্য, ঘটনার সময় পঞ্জাবে কংগ্রেসের (Congress) সরকার ছিল ৷ তার মাস দু’য়েক পর হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ওই রাজ্যে সরকার গড়ে আপ ৷

এই নিয়ে তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে পঞ্জাব সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৷ এর আগে কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ে পঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয় ৷ সেই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয় বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি বড় ধরনের ত্রুটি ৷ তাই এই নিয়ে কী পদক্ষেপ করল সেখানকার সরকার, তা জানতে চায় কেন্দ্র ৷

ওই চিঠিটি লেখা হয়েছিল পঞ্জাবের মুখ্যসচিব বিজয় কুমার জানজুয়াকে ৷ চিঠিটি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ৷ চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, গাফিলতিতে যুক্ত আধিকারিককেদর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বিলম্ব করছে পঞ্জাব সরকার ৷

এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি কমিটি গঠন করেছিল ৷ সেই কমিটি ছ’মাস আগেই এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি, পুলিশ প্রধান এস চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা নিরাপত্তার ত্রুটির জন্য দায়ী ।

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন প্রধানমন্ত্রী মোদির হেলিকপ্টার ভাটিন্ডা থেকে হুসেনিওয়ালা যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তিনি সড়ক পথে যান । পঞ্জাবের ডিজিপির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী সফর শুরু হয় । কিন্তু তাঁর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে পৌঁছালে দেখা যায় যে কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন । ফলে ফ্লাইওভারে প্রায় 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হয় মোদিকে । তাছাড়া যে এলাকায় মোদির কনভয় আটকে রাখা হয়েছিল, সেই এলাকাকে হেরোইন পাচারকারীদের ঘাঁটি বলে মনে করা হয় ।

এই নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে৷ গেরুয়া শিবির কাঠগড়ায় তোলে কংগ্রেসকে ৷ প্রশাসনিক স্তর থেকে জানা গিয়েছিল, পঞ্জাবের প্রশাসন ও পুলিশের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে আগে থেকেই তথ্য ছিল ৷ তাদের তরফে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ছিল । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় যে যখন সফরের রুট পরিবর্তন করা হয়েছিল, তখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পঞ্জাব সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করে ৷ কিন্তু নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷ তাই এই গাফলতিকে গুরুতর হিসেবেই ধরা হয় ৷

আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ইস্যুতে কর্মসূচি বাতিল করে ভাটিন্ডায় ফিরল মোদির কনভয়

চণ্ডীগড়, 13 মার্চ: 2022 সালের 5 জানুয়ারি পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নিরাপত্তায় গাফিলতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ এই নিয়ে শীঘ্রই পঞ্জাবের সরকার (Punjab Government) কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পেশ করবে ৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, লোকসভায় আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা (AAP PM Raghav Chadha) ৷ উল্লেখ্য, ঘটনার সময় পঞ্জাবে কংগ্রেসের (Congress) সরকার ছিল ৷ তার মাস দু’য়েক পর হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ওই রাজ্যে সরকার গড়ে আপ ৷

এই নিয়ে তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে পঞ্জাব সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ৷ এর আগে কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ে পঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয় ৷ সেই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয় বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি বড় ধরনের ত্রুটি ৷ তাই এই নিয়ে কী পদক্ষেপ করল সেখানকার সরকার, তা জানতে চায় কেন্দ্র ৷

ওই চিঠিটি লেখা হয়েছিল পঞ্জাবের মুখ্যসচিব বিজয় কুমার জানজুয়াকে ৷ চিঠিটি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ৷ চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, গাফিলতিতে যুক্ত আধিকারিককেদর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বিলম্ব করছে পঞ্জাব সরকার ৷

এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি কমিটি গঠন করেছিল ৷ সেই কমিটি ছ’মাস আগেই এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি, পুলিশ প্রধান এস চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা নিরাপত্তার ত্রুটির জন্য দায়ী ।

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন প্রধানমন্ত্রী মোদির হেলিকপ্টার ভাটিন্ডা থেকে হুসেনিওয়ালা যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তিনি সড়ক পথে যান । পঞ্জাবের ডিজিপির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী সফর শুরু হয় । কিন্তু তাঁর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে পৌঁছালে দেখা যায় যে কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন । ফলে ফ্লাইওভারে প্রায় 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হয় মোদিকে । তাছাড়া যে এলাকায় মোদির কনভয় আটকে রাখা হয়েছিল, সেই এলাকাকে হেরোইন পাচারকারীদের ঘাঁটি বলে মনে করা হয় ।

এই নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে৷ গেরুয়া শিবির কাঠগড়ায় তোলে কংগ্রেসকে ৷ প্রশাসনিক স্তর থেকে জানা গিয়েছিল, পঞ্জাবের প্রশাসন ও পুলিশের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে আগে থেকেই তথ্য ছিল ৷ তাদের তরফে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ছিল । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় যে যখন সফরের রুট পরিবর্তন করা হয়েছিল, তখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পঞ্জাব সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করে ৷ কিন্তু নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷ তাই এই গাফলতিকে গুরুতর হিসেবেই ধরা হয় ৷

আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ইস্যুতে কর্মসূচি বাতিল করে ভাটিন্ডায় ফিরল মোদির কনভয়

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.