কোয়েম্বাটোর, 8 নভেম্বর: সোশাল মিডিয়া মারফৎ প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু জানতে পেরে আর অপেক্ষা করেননি ৷ যোগাযোগ করেছিলেন প্রয়োজনীয় সংস্থার সঙ্গে ৷ তারপর থেকে গত 10 মাস ধরে নিয়মিত কোয়েম্বাটোর হাসপাতালে স্তনদুগ্ধ দান করে আসছেন এক সন্তানের মা সিন্ধু মণিকা ৷ চাপা থাকেনি তাঁর এই মহৎ কাজের কথা ৷ শেষপর্যন্ত ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেই ফেললেন কোয়েম্বাটোরের মহিলা (Woman from Coimbatore entered the record book by donating breast milk) ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত 10 মাসে 55 লিটার বুকের দুধ তাদের দান করেছেন মণিকা, যা রেকর্ড (Sindhu Monika donates 55 liters breast milk in last 10 months) ৷ স্বীকৃতি হিসেবে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পাশাপাশি এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসেও নাম নথিভুক্ত করেছেন তিনি ৷ প্রাথমিকভাবে কোনও ধ্যানধারণা না-থাকলেও মণিকাকে স্তনদুগ্ধ সংগ্রহের পদ্ধতি থেকে তা সংরক্ষণ করার বিষয় সম্পর্কে সচেতন করে তিরুপুর জেলার একটি সংস্থা, যারা মহিলাদের স্তনদুগ্ধ সংরক্ষণ করে থাকে ৷ দেড় বছরের কন্যাসন্তানের মা মণিকা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা বাস্তবে রূপায়ণ করার প্রতিটি পদক্ষেপে স্বামী মহেশ্বরনের সমর্থন পেয়েছেন ৷ যিনি পেশায় একজন অধ্য়াপক ৷
আর যাঁর কীর্তি নিয়ে এত চর্চা, সেই মণিকা গোটা বিষয়টি নিয়ে কী বলছেন ? তাঁর কথায়, "প্রত্যেক শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য স্তনদুগ্ধ অপরিহার্য ৷ অথচ মায়ের বুকে পর্যাপ্ত দুধের কারণে ভুগছে আজকালকার শিশুরা ৷ সোশাল মিডিয়ায় এসব বিষয়ে জানার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই স্তনদুগ্ধ হাসপাতালে দান করব ৷" এখানেই শেষ নয় ৷ মণিকা আরও বলেন, "প্রত্যেক মায়ের তার শিশুকে স্তনদুগ্ধ পান করানোর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিৎ ৷ তাই প্রত্যেক মা-কেই আমি এ ব্যাপারে আহ্বান জানাচ্ছি ৷"
আরও পড়ুন: বেসরকারি সংস্থা নির্মিত দেশের প্রথম মহাকাশযান উৎক্ষেপণ আগামী সপ্তাহেই
আর যাঁর সমর্থনে মণিকার পক্ষে এই মহৎ উদ্যোগ নেওয়া আরও সহজ হয়েছে সেই মহেশ্বরন বলছেন, "সাধারণত মহিলাদের মধ্যে এমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় না ৷ তবে সকলের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিৎ ৷ আর অবশ্যই পুরুষদের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ৷ আমাদের উচিৎ মহিলাদের এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা ৷"