গোয়ালিয়র, 16 জুলাই: অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রর মৃত্যুতে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হল গোয়ালিয়রের একটি স্কুলে ৷ স্কুলের দুই শিক্ষকের মারধরের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের । ছাত্রের মৃত্যুর জন্য স্কুলের কর্মচারীদের দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় মৃত ছাত্রের পরিবার । ঘটনাস্থলে এই নিয়ে তীব্র হট্টগোল শুরু হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ ছাত্রের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ।
ঘটনাটি ঘটেছে বহোদাপুর থানার অন্তর্গত শব্দপ্রতাপ আশ্রমের কাছে ফোর্ট ভিউ স্কুলে । সেখানেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত কৃষ্ণা চৌহান নামে এক ছাত্র । তার বাবা কোক সিং চৌহান জানিয়েছেন, আট মাস আগেও প্রিন্সিপাল আকাশ শ্রীবাস্তব, শিক্ষক সোনু শ্রীবাস্তব এবং আকবর খান ওই ছাত্রকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছিলেন ৷ যার জেরে সে চার মাস মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ছিল ৷ এরপর তার আত্মীয়-স্বজনেরা স্কুলের কর্মীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ছেলেকে স্পর্শ করার দরকার নেই ৷ ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা যেন তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় ।
তা সত্ত্বেও, গত 12 জুলাই বিকেলে আকবর খান নামে এক শিক্ষক কৃষ্ণকে মোরগ করে দাঁড়ানোর শাস্তি দেন ৷ পাশাপাশি শিক্ষক সোনু শ্রীবাস্তব কৃষ্ণের হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন, যার কারণে সে যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে । বাড়ি ফেরার পথে তার শরীর ছেড়ে দেয় এবং সে বমি করতে শুরু করে ।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আচমকা রহস্যজনক মৃত্যু পুরুলিয়ার ছাত্রের
এই দেখে স্কুলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের 14,000 টাকা দেন এবং অবস্থার উন্নতি হলে শিশুটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে বলেন । তা না করে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরকে জয়রোগ হাসপাতালে ভর্তি করে । সেখানেই রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয় ৷
এরপর রাগের চোটে পরিবারের সদস্যরা কিশোরের মৃতদেহ নিয়ে স্কুলে পৌঁছয় এবং স্কুলের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগ করতে থাকে । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কর্মীরা এখনও তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি । পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চালাতে হবে এবং অন্য শিশুদেরও বক্তব্য নিতে হবে । যাতে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয় এবং বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিশুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সত্যতা জানা যায় ।