জয়পুর, 26 সেপ্টেম্বর: বড়সড় ধাক্কা রাজস্থান সরকারে ৷ সূত্রের খবর, হুমকির পর এ বার সরাসরি ইস্তফা দিলেন রাজস্থানের 76 জন কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLAs of Rajasthan Submitted Resignation) ৷ শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানতে নারাজ এমন 76 জন বিধায়ক রবিবার রাতে অধ্যক্ষ সিপি জোশীর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন ৷
রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত (Ashok Gehlot) কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন । তিনি নিজেও দলের সভাপতি পদে আসতে ইচ্ছুক (Congress President) । তাঁর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম উঠে আসছে সাংসদ শশী থারুরের । এখন কংগ্রেস , 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি অনুসরণ করা হবে ৷ আর তা অনুসরণ করা হবে, নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন থেকেই ৷ সেক্ষেত্রে গেহলত যদি কংগ্রেস সভাপতি হন তাহলে তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে ৷ সেখানেই তাঁর জায়গায় শচীন পাইলটের নাম উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৷ তারই বিরোধিতা করে পদত্যাগ করলেন এই বিধায়করা ৷
উল্লেখ্য, গেহলত শিবিরের বিধায়কদের অভিযোগ, অশোক গেহলত কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেননি ৷ তাই কিছুটা অভিমানি হয়েই অশোক গেহলত এবং হাইকমান্ডের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ৷ প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধি ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত শচীন পাইলটকে কখনই গেহলত শিবিরের বিধায়ক এবং নেতারা মেনে নেননি ৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীন পাইলটকে মানতে নারাজ, ইস্তফার হুমকি গেহলত শিবিরের 92 বিধায়কের
বেশ কিছু দিন আগে রাজস্থানে সরকার পতনের একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ৷ শোনা যাচ্ছিল শচীন পাইলট বেশ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ৷ এমনকি তিনি কংগ্রেসের সব পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন ৷ সেই সময় রাহুল গান্ধির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল ৷ ফের একবার টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress Crisis) ৷ প্রথমে শোনা যাচ্ছিল 92 জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফার হুমকি দিয়েছেন ৷ কিন্তু, রাত গড়াতেই শোনা যাচ্ছে 76 জন ইতিমধ্যে তাঁদের পদত্যাগপত্র অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, রাজস্থান কংগ্রেসের বিধায়ক প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেননি অশোক গেহলত ৷ দলীয় বিধায়কদের মতামত শোনা উচিত ছিল তাঁর ৷ রবিবার সন্ধ্যায় গেহলতের বাসভবনে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, তাঁর আগেই 56 জন বিধায়ক মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন ৷ সেই বৈঠকের পরেই গেহলত শিবিরের বিধায়কের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের বিষয়টি সামনে এসেছিল ৷ পরে সেটাই হল ।