শিলং, 22 নভেম্বর: অসম-মেঘালয় সীমায় নিহত হয়েছেন 6 জন (6 killed in Assam-Meghalaya border) । ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহে । মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেঘালয়ের 5 জন এবং অসমের এক বন আধিকারিক । মৃত্যুর প্রকৃত কারণ না-জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে । একই সঙ্গে সরকারি সূত্র বলছে, আগামী কয়েকদিনে পাহাড়ের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । যার জেরে 48 ঘণ্টার জন্য মেঘালয়ের 7 জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করল সরকার (Internet services suspended in 7 Meghalaya districts) ।
মেঘালয় সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “পুলিশ সদর দফতর, মেঘালয় থেকে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে যে মুকরোহ, পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে । যার ফলে জনসাধারণের শান্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় থেকে হুমকিও এসেছে । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শান্তি বিঘ্নিত করতে তৎপর হয়েছে দুষ্কৃতীরা ।"
আরও পড়ুন: 2 বছরে 229 বার, ইন্টারনেট বন্ধে শীর্ষে ভারত
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাদ সঙ্গমা বলেন, “আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । মেঘালয় পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে এবং তদন্ত করেছে ।” মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্র (পুলিশ) বিভাগের সচিব সিভিডি দিয়েংদোহ জানিয়ে দিয়েছেন, সোশাল মিডিয়ার (হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি) অপব্যবহার রোধ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য 48 ঘণ্টা মেঘালয়ের 7 জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে সরকার (Internet services suspended) ।
আরও পড়ুন: কেন বন্ধ ইন্টারনেট, আপেল দিয়ে বোঝালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি
মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড়, রি-ভোই, পূর্ব-পশ্চিম খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড়ের জেলাগুলি জুড়ে টেলিকম এবং সোশ্যাল মিডিয়া পরিষেবা বন্ধ থাকবে । বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে সরকারি ঘোষণার লঙ্ঘনকারীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা 188 এবং ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন, 1885 এর সংশ্লিষ্ট বিধানগুলির অধীনে শাস্তি দেওয়া হবে ।