জয়পুর, 17 জানুয়ারি: যত সংখ্যক ধর্ষণের অভিযোগ দায়ে হয় তার বেশির ভাগ ভুয়ো ৷ এমনটাই জানালেন সে রাজ্যের ডিজিপি উমেশ মিশ্র ৷ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে তিনি জানান, রাজস্থানে যত ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়, তার মধ্যে 41 শতাংশ ভুয়ো ৷ এই সংখ্যা দেশের গড় শতাংশের পাঁচগুণ (41% registered rape cases are found to be fake in Rajasthan) ৷
তিনি বলেন, "দেশে একটা ভুল ধারণা আছে, ধর্ষণকাণ্ডে রাজস্থান প্রথম স্থান অধিকার করে ৷ কিন্তু সত্যি বলতে মধ্যপ্রদেশ প্রথম এবং রাজস্থান দ্বিতীয় ৷ তাও রাজস্থানের দ্বিতীয় হওয়ার কারণ এথানে কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই মামলা দায়ের করার পরিবেশ রয়েছে ৷ রাজস্থানে ধর্ষণের মামলার 41 শতাংশের ক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ সেখানে জাতীয় ক্ষেত্রে 8 শতাংশ অভিযোগের প্রমাণ মেলে না ৷"
আরও পড়ুন: আট বছরের বালিকাকে ধর্ষণ দশ বছরের বালকের ! তদন্তে পুলিশ
পুলিশ আধিকারিক জানান, নাবালিক ধর্ষণের ক্ষেত্রে পকসো আইনে নথিভুক্ত, ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে ৷ 2022 সালে এরকম 5টি মামলায় অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত ৷ 209 টি মামলার ক্ষেত্রে আদালত অপরাধীদের 20 বছরের কঠিন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে ৷
তিনি আরও জানান, 2019 সালের জুন মাস থেকে অভিযোগকারীদের এফআইআর দায়েরের জন্য 'বাধাহীন নথিভুক্তি'কে (uninterrupted registration) গুরুত্ব দিয়েছে রাজস্থান সরকার ৷ এতে অনেক ভালো ফল হচ্ছে ৷ 2018 সালে 30.5 শতাংশ মামলা আদালতের মাধ্যমে নথিভুক্ত হত ৷ সেই সংখ্যা কমে এখন 14.4 শতাংশ হয়েছে ৷ 18টি মামলায় পুলিশ আধিকারিকেরা এফআইআর নিতে চায়নি ৷ সেই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ ডিজিপি জানান, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (National Crime Records Bureau, NCRB) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানে এধরনের অপরাধে দোষীদের সাজা পাওয়ার শতাংশ 47.9, যা জাতীয় স্তরের থেকে অনেক বেশি ৷ দেশে মাত্র 28.6 শতাংশ অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয় এবং সাজা পায় ৷