নয়াদিল্লি, 12 জুলাই : সাইকোঅ্যানালিসি পরীক্ষার (Psychoanalysis test) ফল জানাচ্ছে সন্দেহভাজন 4 জনের মধ্যে 2 জন কিছুটা সত্যি (Partial truth) বলছে ৷ সোমবার এ কথা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ ৷ 29 জানুয়ারি দিল্লির ইজ়রায়েলি এমব্যাসিতে (Israeli Embassy, Delhi) বিস্ফোরণ হয় ৷ এতে যুক্ত থাকার অভিযোগে 24 জুন কার্গিলের (Kargil) লাদাখ (Ladakh) থেকে 4 জনকে ষড়যন্ত্র আর জঙ্গি হামলা ঘটানোর অভিযোগে ভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্ত করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (National Investigation Agency, NIA) ৷
আরও পড়ুন : খাগড়াগড় কাণ্ডে ধৃত কওসরকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জেএমবি জঙ্গিদের ?
নাজির হুসেন (26), জুলফিকার আলি ওয়াজ়ির (25), আইয়াজ় হুসেন (28), মুজাম্মিল হুসেন (25), সবাই লাদাখের থাংগ (Thang) গ্রামের বাসিন্দা ৷ ওই ঘটনার দিন চারজনই দিল্লিতে ছিলেন, তাঁদের ফোন বন্ধ ছিল আর বিস্ফোরণের পরে সবাই শহর ছেড়ে চম্পট দেয় ৷
এই ছাত্ররা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকত ৷ প্যালেস্তাইন-ইজ়রায়েল ঝামেলা নিয়ে মন্তব্য করত ৷ এ ছাড়া স্পেশ্যাল সেলের (Special Cell) কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই ৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে এরা রাজধানীতে জঙ্গি হামলার "পরিকল্পনা আর তা বাস্তবায়িত করার ছক কষছিল" (plan and execute terror activites) ৷
বিস্ফোরণের দিন ড. এপিজে আবদুল কালাম রোডে (Dr APJ Abdul Kalam Road) এমব্যাসির ওই অঞ্চলে অনেকগুলি গাড়ি পার্ক করা ছিল ৷ সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিস্ফোরণে ৷ বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Ammonium Nitrate) ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ আর সন্দেহ করা হচ্ছিল কোনও বড় হামলার এটা একটা মহড়া মাত্র ৷