দেরাদুন, 16 ডিসেম্বর: সংসদে নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনায় তোলপাড় দেশজুড়ে ৷ 13 ডিসেম্বরের এই এমন ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ 29 বছর আগেও এমন নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ৷ 24 অগস্ট, 1994 সাল ৷ দু'জন যুবক হঠাৎ সংসদের লোকসভা কক্ষে দর্শকদের জন্য নির্ধারিত গ্যালারিতে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন ৷ ওই দুই যুবকের নাম মোহন পাঠক এবং মনমোহন তিওয়ারি ৷ মোহন পাঠক হঠাৎ সাংসদদের চেম্বারে লাফিয়ে পড়েন ৷
অন্যদিকে মনমোহন তিওয়ারি দর্শকাসন থেকে লিফলেট ছুড়তে থাকেন ৷ পাশাপাশি স্লোগানও দিতে থাকেন ৷ তবে পৃথক উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দাবিতেই তাঁরা সেদিন এই কাণ্ড করেছিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দু'জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পরে তাঁদের ঠাঁই হয় তিহাড় জেলে ৷
এই ঘটনা নিয়ে মোহন পাঠক ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, "সেই সময় আমি পৃথক উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলাম ৷ আমি সক্রিয় যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম ৷ 1994 সালের 24 অগস্ট আমার বন্ধু মনমোহন তিওয়ারির সঙ্গে সংসদে ঢুকি এবং তার সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকি ৷ এরপর দর্শকদের গ্যালারি থেকে লাফ দিই ৷ তারপর অধ্যক্ষ শিবরাজ পাতিলের আসনের কাছে চলে গিয়েছিলাম ৷ এরপর স্লোগান দিতে থাকি, 'আজ দো, আভি দো, উত্তরাখণ্ড রাজ্য দো' ৷"
সেদিনের হামলা ও প্রতিবাদ সম্পর্কে মোহন পাঠক বলেন, "আমরা সম্পূর্ণ অহিংসপথে আমাদের দাবি তুলে ধরেছিলাম ৷ সংসদে প্রবেশের সময় আমাদের সঙ্গে কোনও ধরনের ক্ষতিকর কিছু ছিল না ৷ এই ক্যান নিয়ে সংসদে প্রবেশ একেবারে অন্যায় ৷"
আরেক বিক্ষোভকারী প্রদীপ কুকরেতি বলেন, "1994 সালে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দাবিতে বহু তরুণ সংসদে প্রবেশ করেছিলেন ৷ তাঁরা লিফলেট ছুড়েছিল ৷ সংসদে অন্দরে স্লোগান দিতে থাকে ৷ তরুণ বিক্ষোভকারীদের মনে হয়েছিল, তাঁদের আওয়াজ সংসদ পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না ৷ তখন তাঁরা ওই পদক্ষেপ করেছিলেন ৷"
আরও পড়ুন: