হুবলি, 11 সেপ্টেম্বর: মর্মান্তিক! একসঙ্গে 23টি পায়রাকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল ৷ পায়রার মালিকের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ৷ কর্ণাটকের হুবলি শহরের ইয়াভাগল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে ৷ এই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ তবে এখনও কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি ৷
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুবলি শহরের ইয়াভাগল এলাকায় একটি বাড়িতে থাকেন রাহুল ডান্ডেলি ৷ গত ছয় মাস ধরে পায়রা রেখেছিলেন বাড়িতে । সেই কারণে পায়রা রাখার ঘরও তৈরি করেছিলেন তিনি ৷ গত শনিবার তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতিরা ঢুকে গলা কেটে 23টি পায়রাকে মেরে ফেলে ৷ পায়রাদের রাখার জন্য যে ঘরগুলি রাহুল ডান্ডেলি তৈরি করেছিলেন, সেই ঘরগুলিও দুষ্কৃতিরা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে ৷ তিনি হুবলি উপনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তাঁর দাবি, পুরনো শত্রুতার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে ৷
আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ রাহুল ডান্ডেলির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ৷ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ সেখান থেকেই দুষ্কৃতিদের সম্বন্ধে তথ্য মিলবে বলেই মনে করছে পুলিশ ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছে ৷ তবে এখনও কোনও অভিযুক্তের হদিশ মেলেনি ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, রাহুল ডান্ডেলির সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে ৷ কাদের সঙ্গে তাঁর পুরনো শত্রুতা রয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে ৷ তার পর সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হবে ৷ প্রয়োজনে সমস্ত সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকেই ৷ কারণ, শত্রুতার জেরে এভাবে পায়রা নিধন কেউ সমর্থন করছেন ৷ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে ৷
আরও পড়ুন: থানের নির্মীয়মান লিফট ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, 7 শ্রমিকের মৃত্যু