ETV Bharat / bharat

মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত 2000, মৃত 10

কোভিড সেরেছে, কিন্তু শরীরে থেকে যাচ্ছে নতুন সংক্রমণ ৷ ‘মিউকোরমাইকোসিস’ বা ‘ব্ল্যাক ফাংগাস’ নামের এই ছত্রাকের সংক্রমণে সুস্থ হওয়ার পরও রোগী মারা যাচ্ছেন ৷ ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে 10 জন মারা গিয়েছেন, আক্রান্ত 2000 জন ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এই সংক্রমণ নিয়ে বিশদ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ৷

মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাংগাস
মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাংগাস
author img

By

Published : May 15, 2021, 4:15 PM IST

মুম্বই (মহারাষ্ট্র) 15 মে : করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশ, এবার দোসর ‘মিউকোরমাইকোসিস’ বা ‘ব্ল্যাক ফাংগাস’ ৷ কোভিড সেরে গেলেও এই মারাত্মক ছত্রাকের সংক্রমণ রয়ে যাচ্ছে অনেক রোগীর শরীরেই ৷ এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় 2000টি অ্যাকটিভ মিউকোরমাইকোসিস কেসের খবর পাওয়া গিয়েছে, মারা গিয়েছেন 10 জন ৷

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে এই সংক্রমণের ফলে কিছু রোগী তাঁদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছে ৷ মানুষ কী করে সংক্রামিত হচ্ছেন, এর সঙ্গে কোভিডের সম্পর্ক কী, এর লক্ষণ, চিকিৎসা আর আগে থেকে কী সুরক্ষা নেওয়া সম্ভব, এই সব নিয়ে বিস্তারিত একটি নির্দেশিকা দিয়েছে এই মন্ত্রক ৷

কোনো ব্যক্তি কী ভাবে মিউকোরমাইকোসিসে সংক্রামিত হচ্ছেন ?

এটা এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন বা ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণ ৷ শরীরের কোনও ক্ষত, কাটা জায়গা, পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থান দিয়ে শরীরে ঢোকে এই ‘ব্ল্যাক ফাংগাস’ ৷ "ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ" (আইসিএমআর) জানিয়েছে, ডায়াবেটিসে ব্যবহৃত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায় ৷ এ ছাড়া কোনও জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকলে, কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হলে, ক্যানসার হলে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৷

এই ছত্রাক রয়েছে এমন পরিবেশে গেলে কোনও ব্যক্তি সহজেই সংক্রামিত হয়ে যান ৷ বিশেষত, কাদামাটি, পাতাময়, সার আর পচে যাওয়া জিনিসের মধ্যে এই ফাংগাস থাকে ৷ কোভিড রোগী আর ডায়াবেটিস রোগী, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি ৷

মানুষ তার সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এর মোকাবিলা করতে পারে সহজেই ৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় রোগীকে এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে তার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে এই ফাংগাল সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৷ আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রোগীরা ওই পরিবেশের আর্দ্রতার মাত্রার জন্য সুস্থ হওয়ার সময় এই ফাংগালে আক্রান্ত হন ৷

মিউকোরমাইকোসিসের লক্ষণ-

এই সংক্রমণের ফলে প্রথমে সাইনাস, পরে তা দাঁতে, আর তারও পরে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ এর পরের পর্যায়ে ফুসফুস আর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ ছোট ছোট কালো দাগে ভরে যায় রোগীর মুখ, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশতে গিয়ে রক্ত উঠে আসা, এই রোগের লক্ষণ ৷

যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিয়মিত ঠান্ডা লাগার সঙ্গে এই ফাংগাল ইনফেকশনকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না ৷ যে সব কোভিড রোগীদের চিকিৎসা চলছে অথবা যাঁরা সবে সুস্থ হয়েছেন, তাঁরা যেন এই লক্ষণগুলির বিষয়ে সচেতন থাকেন ৷ তবে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ফল আর বিশেষজ্ঞের পরামর্শের পরই নিশ্চিত করা যাবে এই সংক্রমণ ৷

আরো পড়ুন : দিল্লিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্য়াঙ্ক তৈরির ঘোষণা কেজরিওয়ালের

মিউকোরমাইকোসিসের চিকিৎসা-

ত্বকের মাধ্যমে শুরু হলেও এই সংক্রমণ দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ৷ চিকিৎসার সময় মৃত আর সংক্রামিত কোষগুলিকে শরীর থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তাই অনেক সময় কিছু রোগীর চোয়ালের উপরের অংশ অথবা একটা চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ এই কোষগুলিকে দূরীভূত করতে চার-ছ'সপ্তাহ ধরে শিরার মধ্যে দিয়ে অ্যান্টি-ফাংগাল চিকিৎসা চালাতে হয় ৷

এতে সারা শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তাই মাইক্রোবায়োলজিস্ট, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নিউরোলজিস্ট, কান-নাক-গলার বিশেষজ্ঞ, চক্ষুবিশেষজ্ঞ, দন্তবিশেষজ্ঞ, শল্যচিকিৎসক আর অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি চিকিৎসকদল প্রয়োজন ৷

মিউকোরমাইকোসিস প্রতিরোধ-

বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতন থাকতে হবে ৷ আইসিএমআর জানিয়েছে, ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই প্রথম পদক্ষেপ ৷ নিজে নিজে ওষুধ আর অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফল মারাত্মক হতে পারে ৷ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে ৷

অবৈধ স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফল মারাত্মক-

নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ ভি কে পাল জানান, কোভিড চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে এর ব্যবহার করা উচিত নয় ৷ চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ আর কত দিন ধরে তা খেতে হবে, সেই পরামর্শ মেনে চলতে হবে ৷ প্রয়োজনের তুলায় বেশি দিন ধরে ওষুধ খেলে তার ফল খারাপ হতে পারে ৷

এই সংক্রমণে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকলে কী হতে পারে ?

স্টেরয়েড ছাড়াও, টোকিলিজুমাব আর আইটোলিজুমাব-ও রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে ৷ অনেক সময়ই করোনার ফলে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ কোভিড টাস্ক ফোর্স টোকিলিজুমাবের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য এর ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করা যায়, তা জানিয়েছে ৷

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি-

অক্সিজেন নেওয়া কোভিড রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে ৷ অক্সিজেনের হিউমিডিফায়ারগুলি রোজ পরিস্রুত জল দিয়ে পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ৷ কোনও ফাঁক দিয়ে জল পড়লে ফাংগাস তৈরি হতে পারে ৷ রোগীরা যেন সময়ে সময়ে হাত ধোন, আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন ৷

সুস্থ হওয়ার পর বিধিনিষেধ-

যে সব কোভিড রোগীরা সুস্থ হয়েছেন, তাঁরা যেন লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল রাখেন, সচেতন থাকেন ৷ সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে, তা অবহেলা না করেন ৷ সময়মতো ধর পড়লে এই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হতে পারেন রোগী ৷ তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ওষুধ খেতে হবে ৷

মুম্বই (মহারাষ্ট্র) 15 মে : করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশ, এবার দোসর ‘মিউকোরমাইকোসিস’ বা ‘ব্ল্যাক ফাংগাস’ ৷ কোভিড সেরে গেলেও এই মারাত্মক ছত্রাকের সংক্রমণ রয়ে যাচ্ছে অনেক রোগীর শরীরেই ৷ এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় 2000টি অ্যাকটিভ মিউকোরমাইকোসিস কেসের খবর পাওয়া গিয়েছে, মারা গিয়েছেন 10 জন ৷

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে এই সংক্রমণের ফলে কিছু রোগী তাঁদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছে ৷ মানুষ কী করে সংক্রামিত হচ্ছেন, এর সঙ্গে কোভিডের সম্পর্ক কী, এর লক্ষণ, চিকিৎসা আর আগে থেকে কী সুরক্ষা নেওয়া সম্ভব, এই সব নিয়ে বিস্তারিত একটি নির্দেশিকা দিয়েছে এই মন্ত্রক ৷

কোনো ব্যক্তি কী ভাবে মিউকোরমাইকোসিসে সংক্রামিত হচ্ছেন ?

এটা এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন বা ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণ ৷ শরীরের কোনও ক্ষত, কাটা জায়গা, পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থান দিয়ে শরীরে ঢোকে এই ‘ব্ল্যাক ফাংগাস’ ৷ "ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ" (আইসিএমআর) জানিয়েছে, ডায়াবেটিসে ব্যবহৃত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায় ৷ এ ছাড়া কোনও জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকলে, কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হলে, ক্যানসার হলে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৷

এই ছত্রাক রয়েছে এমন পরিবেশে গেলে কোনও ব্যক্তি সহজেই সংক্রামিত হয়ে যান ৷ বিশেষত, কাদামাটি, পাতাময়, সার আর পচে যাওয়া জিনিসের মধ্যে এই ফাংগাস থাকে ৷ কোভিড রোগী আর ডায়াবেটিস রোগী, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি ৷

মানুষ তার সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এর মোকাবিলা করতে পারে সহজেই ৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় রোগীকে এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে তার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে এই ফাংগাল সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৷ আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রোগীরা ওই পরিবেশের আর্দ্রতার মাত্রার জন্য সুস্থ হওয়ার সময় এই ফাংগালে আক্রান্ত হন ৷

মিউকোরমাইকোসিসের লক্ষণ-

এই সংক্রমণের ফলে প্রথমে সাইনাস, পরে তা দাঁতে, আর তারও পরে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ এর পরের পর্যায়ে ফুসফুস আর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ ছোট ছোট কালো দাগে ভরে যায় রোগীর মুখ, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশতে গিয়ে রক্ত উঠে আসা, এই রোগের লক্ষণ ৷

যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিয়মিত ঠান্ডা লাগার সঙ্গে এই ফাংগাল ইনফেকশনকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না ৷ যে সব কোভিড রোগীদের চিকিৎসা চলছে অথবা যাঁরা সবে সুস্থ হয়েছেন, তাঁরা যেন এই লক্ষণগুলির বিষয়ে সচেতন থাকেন ৷ তবে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ফল আর বিশেষজ্ঞের পরামর্শের পরই নিশ্চিত করা যাবে এই সংক্রমণ ৷

আরো পড়ুন : দিল্লিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্য়াঙ্ক তৈরির ঘোষণা কেজরিওয়ালের

মিউকোরমাইকোসিসের চিকিৎসা-

ত্বকের মাধ্যমে শুরু হলেও এই সংক্রমণ দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ৷ চিকিৎসার সময় মৃত আর সংক্রামিত কোষগুলিকে শরীর থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তাই অনেক সময় কিছু রোগীর চোয়ালের উপরের অংশ অথবা একটা চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ এই কোষগুলিকে দূরীভূত করতে চার-ছ'সপ্তাহ ধরে শিরার মধ্যে দিয়ে অ্যান্টি-ফাংগাল চিকিৎসা চালাতে হয় ৷

এতে সারা শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তাই মাইক্রোবায়োলজিস্ট, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নিউরোলজিস্ট, কান-নাক-গলার বিশেষজ্ঞ, চক্ষুবিশেষজ্ঞ, দন্তবিশেষজ্ঞ, শল্যচিকিৎসক আর অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি চিকিৎসকদল প্রয়োজন ৷

মিউকোরমাইকোসিস প্রতিরোধ-

বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতন থাকতে হবে ৷ আইসিএমআর জানিয়েছে, ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই প্রথম পদক্ষেপ ৷ নিজে নিজে ওষুধ আর অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফল মারাত্মক হতে পারে ৷ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে ৷

অবৈধ স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফল মারাত্মক-

নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ ভি কে পাল জানান, কোভিড চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে এর ব্যবহার করা উচিত নয় ৷ চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ আর কত দিন ধরে তা খেতে হবে, সেই পরামর্শ মেনে চলতে হবে ৷ প্রয়োজনের তুলায় বেশি দিন ধরে ওষুধ খেলে তার ফল খারাপ হতে পারে ৷

এই সংক্রমণে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকলে কী হতে পারে ?

স্টেরয়েড ছাড়াও, টোকিলিজুমাব আর আইটোলিজুমাব-ও রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে ৷ অনেক সময়ই করোনার ফলে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ কোভিড টাস্ক ফোর্স টোকিলিজুমাবের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য এর ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করা যায়, তা জানিয়েছে ৷

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি-

অক্সিজেন নেওয়া কোভিড রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে ৷ অক্সিজেনের হিউমিডিফায়ারগুলি রোজ পরিস্রুত জল দিয়ে পরিষ্কারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ৷ কোনও ফাঁক দিয়ে জল পড়লে ফাংগাস তৈরি হতে পারে ৷ রোগীরা যেন সময়ে সময়ে হাত ধোন, আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন ৷

সুস্থ হওয়ার পর বিধিনিষেধ-

যে সব কোভিড রোগীরা সুস্থ হয়েছেন, তাঁরা যেন লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল রাখেন, সচেতন থাকেন ৷ সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে, তা অবহেলা না করেন ৷ সময়মতো ধর পড়লে এই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হতে পারেন রোগী ৷ তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই ওষুধ খেতে হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.