নারায়ণপুর (ছত্তিশগড়), 24 নভেম্বর: ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে একটি লোহার খনি প্রকল্পের সাইটে মাওবাদী নাশকতার অভিযোগ ৷ যে ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ শুক্রবারের এই মাওবাদী নাশকতায় আইইডি বিস্ফোরণ করানো হয় বলে অভিযোগ ৷ ছোটে ডোংগার থানা এলাকায় আমদাই ঘাটির সাইটে আজ সকাল 8টার সময় কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ওই তিন শ্রমিক ৷ তখনই মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটায় ৷ আহতকে ছোটে ডোংগার কমিউনিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷
সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেকটাই ভয়াবহ ছিল ৷ যেখানে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে 350 কিলোমিটার দূরে ৷ মৃত দুই শ্রমিকের পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তাঁরা দু’জনেই যুবক ৷ প্রথমজন রীতেশ গাগড়া (21 বছর) এবং দ্বিতীয়জন আরেকজন শ্রবণ গাগড়া (24 বছর) ৷ দু’জনেই নারায়ণপুর জেলার বাসিন্দা ৷ জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর শ্রবণের দেহ পাওয়া যায়নি ৷ বিস্ফোরণ স্থলে তাঁর দেহ পাওয়া যায়নি ৷ কিন্তু, পরবর্তী সময়ে সেখানেই তাঁর দেহ নিরাপত্তাবাহিনী উদ্ধার করে ৷ কিন্তু, বিস্ফোরণের পর কেন অন্যান্যরা শ্রবণের দেহ সেখানে দেখতে পেলেন না ? এই পুরো বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷ এর জন্য আলাদাভাবে তদন্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রমিক উমেশ রানাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, আমদাই ঘাটির ওই লোহা খনির বরাত পেয়েছে জয়সওয়াল নেকো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড বা জেএনআইএল ৷ কিন্তু, মাওবাদীরা শুরু থেকেই এই লৌহ আকরিক উত্তলনের বিরোধিতা করে আসছে ৷ আর সেই কারণেই, শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে এই আইইডি বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান প্রশাসনের ৷ সূত্রের দাবি অনুযায়ী, তদন্তকারীরা মনে করছেন, আইইডি বিস্ফোরণ করানোর জন্য প্রেসার ট্রিগার করা হয়েছিল ৷ কোনও এক শ্রমিক সেই ট্রিগারের সংস্পর্শে আসতেই আইইডি বিস্ফোরণ হয় ৷
এই ঘটনায় ছোটে ডোংগারের এসডিপিও অভিষেক পাইকরা বলেন, ‘‘শ্রমিকরা মাইনে কাজ করার জন্য সাইটে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় একজন শ্রমিকের পার আইইডি-র উপর পড়ে এবং বিস্ফোরণ হয় ৷ ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে ৷ সেখানে এমন আরও আইইডি ল্যান্ড-মাইনের আকারে পোঁতা থাকতে পারে ৷"
আরও পড়ুন: