আগরতলা, 6 নভেম্বর: 16 বছর বয়সি এক কিশোরের বিরুদ্ধে তার পরিবারের তিন সদস্য এবং এক প্রতিবেশীকে খুন করে কুয়োতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ধলাই জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে (Agartala Murdered) ৷
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কামালপুর মহকুমার বাসিন্দা ওই কিশোর নিয়মিত মাদক সেবন করত । শনিবার সকালে সে তার মা, দাদা, 10 বছরের বোন এবং এক প্রতিবেশীকে অস্ত্র দিয়ে খুন করে ৷ ঘটনার পর সে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৷ তবে খুনের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: 'বালিঘাটের দখল' নিয়ে বিবাদের জেরে খুন তরুণ, ধৃত তৃণমূল নেতা-সহ 15
এক অফিসারের মতে, এদিন ছেলেটির বাবা বাড়িতে এসে দেখেন সর্বত্র রক্তের ছিটে এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে এবং মৃতদেহগুলি বাড়ির পাশের কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে । অভিযুক্ত ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৷ শনিবার সন্ধ্যায় মৃতদেহগুলি পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে খুব জোরে গানের আওয়াজ শুনতে পান প্রতিবেশীরা ৷ এরপরই বেলার দিকে পাশের কুয়োয় দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ তাঁদের অনুমান, খুন করার সময় যাতে আওয়াজ বাইরে না যায় সেই কারণেই উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: শপিং মলে চকোলেট চুরির ভিডিয়ো ভাইরাল ! অপমানে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে ৷ পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷ কী কারণে খুন তা জানতে তদন্ত চলছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে ৷ তবে অনুমান, খুন করতে কোনও ভোঁতা বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল । উদ্ধার হওয়া দেহগুলিতে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ৷