দিল্লি, 29 জানুয়ারি : আজ শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন । আর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ 16টি বিরোধী দল। তারা কৃষক বিক্ষোভের পাশেই থাকছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের সময় দিল্লিতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করলেও বিরোধীদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকাশ্যে আসবে যে এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অসাধু ভূমিকা ছিল।
কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, ''সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা হবে জানিয়ে আমরা 16টি রাজনৈতিক দল যৌথ বিবৃতি দিয়েছি। বিরোধীদের ছাড়াই সংসদে জোর করে কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।''
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''রাজ্যগুলি ও কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কৃষি বিল আনা হয়েছিল। সংসদীয় স্ক্রুটিনি না করিয়ে, বিরোধীদের উপেক্ষা করে, সংসদীয় নিয়ম ও ঐতিহ্য ভেঙে কৃষি আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে।'' এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সরকার উদ্ধত ও অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে। সরকারের এই অমানবিকতায় ব্যথিত হয়ে আমরা, এই রাজনৈতিক দলগুলি, কৃষকবিরোধী আইন বাতিলের সম্মিলিত দাবি জানাচ্ছি এবং ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থে আমরা 29 জানুয়ারি, শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।''
আরও পড়ুন: 'ট্র্যাক্টরই ছিল কৃষকদের ট্যাঙ্ক, 26 জানুয়ারি দিল্লিতে মিছিলের অনুমতি দেওয়াটা বিরাট ভুল'
কৃষি বিক্ষোভে হওয়া হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''বৃহত্তর ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত 26 জানুয়ারি দিল্লিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা প্রত্যেকেই করেছে। কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দিল্লি পুলিশ কর্মীরা যেভাবে জখম হয়েছেন, তাতে আমরা দুঃখিত। তবে আমাদের বিশ্বাস, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অসাধু ভূমিকার কথা প্রকাশ্যে আসবে।''