জবলপুর (মধ্যপ্রদেশ), 27 ডিসেম্বর: 10 মাস বন্দি থাকার পর স্বাধীনতার স্বাদ পেল 11 বছরের কিশোরী ৷ মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের রাঞ্জি এলাকার বাসিন্দা খামারিয়া কারখানার মালিক অভয় গুপ্তা জোর করে ওই নাবালিকাকে আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত অভয় গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ মেয়েটির বাবা-মাকে ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুর থেকে জবলপুরে ডেকে নিয়ে যায় ৷
কিশোরী ফ্ল্যাটের জানালা থেকে রাস্তার লোকজনকে আকার ইঙ্গিতে বিষয়টি জানায় ৷ তারপরই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ তার কাছ থেকে জানা যায়, ছত্তিশগড়ে কর্মরত অবস্থায় গুপ্তা মেয়েটিকে গৃহস্থালির কাজ করতে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ বিগত 10 মাস ধরে সে গুপ্তাদের পরিবারের সঙ্গেই রয়েছে ৷ অনেক সময়ই তাকে বাইরে থেকে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হত ৷ অভয় গুপ্তা ও তাঁর স্ত্রী না-থাকাকালীন খাবারের জন্য ছটফট করত কিশোরী ৷
তবে এই মুহূর্তে কেউই বুঝতে পারছে না মেয়েটিকে তার বাবা-মা পাঠিয়েছিল নাকি, অভয় গুপ্তা কোনও উপায়ে নিজের কাছে রেখেছিলেন এভাবে ৷ পুরো বিষয়টি শোনার পর নির্যাতিতাকে তার বাবা-মাকে ফোন করতে বলা হয় । এই ঘটনায় এক বাসিন্দা বলেছেন যে, মেয়েটি এতটাই ক্ষুধার্ত ছিল যে সে আশেপাশের লোকজনকে খেতে দেওয়ার জন্য ইঙ্গিত করত ৷ সেই দেখে লোকেরা তার কাছে খাবার পৌঁছে দিত ৷
তবে অভয় পুলিশকে বলেছিলেন, খিদে না থাকায় তিনি ওই নাবালিকাকে কম খাবার দিতেন । এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শিপ্রা দাস জানান যে, মেয়েটি জানিয়েছিল বাড়ির সমস্ত কাজের পাশাপাশি তাকে শৌচাগারও পরিষ্কার করতে হত । মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । বর্তমানে, পুলিশ মেয়েটিকে একটি সেন্টারে পাঠিয়েছে । কিশোরী বা তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করলে গুপ্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন :
2 মেনুতে নেই পাঁঠার মাংসের বিশেষ পদ, বিয়ে বাতিল করে ফিরল পাত্রপক্ষ!
3 গুটখা খেয়ে ঘরের কোণে পিক ফেলেন স্ত্রী, বিয়ের 8 মাসেই সঙ্গ ছাড়তে চেয়ে কাউন্সেলিং সেন্টারে যুবক