মালদা, 7 অক্টোবর: পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে ৷ মালদার বৈষ্ণবনগরের ঘটনায় জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযোগ, খুনের ঘটনাকে ছিনতাই প্রমাণ করার চেষ্টাও করেছিলেন অভিযুক্ত ৷
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক আবদুল সালামকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ৷ তবে, মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রুকসানা খাতুন ৷ তাঁর বয়স 19 বছর ৷ বছর দেড়েক আগে 10 বছরের আবদুল সালামের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় দু’জনের ৷
বৈষ্ণবনগর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে মৃতের বাবা হোসেন মিয়াঁ জানান, তাঁর মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ৷ সম্প্রতি আবদুল এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান ৷ যা জানাজানি হতেই রুকসানার সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় আবদুলের ৷ এমনকি রুকসানাকে মারধরও করতেন তাঁর স্বামী ৷ এ নিয়ে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে গ্রামে সালিশি সভাও বসেছিল ৷ সেই সময় আবদুল সভার নির্দেশ মেনেও নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে আবারও ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন আবদুল ৷
হোসেন মিয়াঁ জানিয়েছেন, গর্ভকালীন বিশ্রাম এবং প্রসবের জন্য কয়েকদিন আগেই মেয়ে তাঁর বাড়ি এসেছিলেন ৷ প্রথম সন্তানের জন্ম, তাই খুব উৎসাহী ছিলেন রুকসানা ৷ শনিবার রাত ন’টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে ৷ ফোনে কথা বলতে-বলতে রুকসানা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান ৷ রাত সাড়ে ন’টা বেজে গেলেও তিনি বাড়ি না-ফেরায়, পরিবারের চিন্তা শুরু হয় ৷ তাঁরা মেয়ের মোবাইলে ফোন করেন ৷ কিন্তু, রিং হলেও ধরেননি রুকসানা ৷