পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

রাত-পথে মেয়েদের প্রতিবাদের মাঝেই গলাকাটা দেহ উদ্ধার যুবতীর - Woman Body Recovered - WOMAN BODY RECOVERED

Woman Body Recovered: তখন রাজপথ মেয়েদের দখলে ৷ স্লোগানে মুখরিত আশপাশ ৷ চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি ৷ এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে যুবতীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার ৷ আরজি কর-কাণ্ডের পর এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷

Young Woman body recovered
গলাকাটা দেহ উদ্ধার যুবতীর (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 15, 2024, 1:01 PM IST

শক্তিগড়, 15 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ । বুধবার রাতে রাজ্যের জেলায় জেলায় রাজপথে তখন চলছে লক্ষ লক্ষ মেয়েদের গর্জন । এরই মধ্যে এক যুবতীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের নান্দুর এলাকায় । মৃত যুবতীর নাম প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা (22)। তাঁর বাড়ি শক্তিগড় থানার নান্দুর ঝাপানতলা এলাকায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান ও শক্তিগড় থানার পুলিশ । পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ।

পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, "পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করতেন । সোমবার তিনি বাড়ি ফেরেন । বুধবার রাত আটটা নাগাদ তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাড়ি থেকে বের হন । তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি । কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । যুবতীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, ওই যুবতীকে খুন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ ।

মেয়ের বাবা সুকান্ত হাঁসদা বলেন ,"কীভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না । কারণ সহজে মেয়ে বাড়ির বাইরে যেতে চায় না । সন্ধে নাগাদ সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে । আমি দোকানে ছিলাম । আমি টেলারিংয়ের কাজ করি । মেয়ে বেঙ্গালুরুতে একটি শপিং মলে কাজ করত । গত দু'দিন আগে সে বাড়ি ফেরে । ছেলের জ্বর এসেছে । এদিকে মেয়ে তখন বাথরুমে নেই দেখে ওঁর মা ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পায়নি । পরে কিছুটা দূরে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় । তাকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ।"

মেয়ের মা কাজল হাঁসদার কথায়, "সন্ধে নাগাদ বাথরুম যাওয়ার নাম করে বের হয় মেয়ে । অনেকক্ষণ বাথরুমে সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ করি । দেখি বাথরুমে কেউ নেই । তখন তাঁকে ফোন করি । ফোন তোলেনি । তারপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেখি, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে ।"

মৃতের আত্মীয় লক্ষ্মী নারায়ণ হাঁসদা জানান, কাজ থেকে সন্ধে নাগাদ বাড়ি ফেরেন তিনি । পরে স্থানীয় একটা দোকানে যান । সেখানেই বসেছিলেন । তখন খবর পান প্রিয়াঙ্কাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে । প্রিয়াঙ্কা বাথরুম যাওয়ার নাম করে বের হন । কিন্তু তাঁকে বাথরুমে না পেয়ে তাঁর ফোনে ফোন করা হলে যোগাযোগ করা যায়নি । তিনি বলেন, "আমাদের সন্দেহ, সে যখন বাথরুম যায়নি নিশ্চয়ই কারও ফোন পেয়ে বাইরে যায় । তাকে খুন করা হয়েছে । কিন্তু কে বা কারা এর পিছনে যুক্ত সেটা বুঝতে পারছি না ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details