কলকাতা, 30 অক্টোবর:বঙ্গে হেমন্তের আমেজ ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দিনের রোদে গায়ে ছ্যাঁকা লাগলেও, দ্রুত পারদ পতনের এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে আসছে । তবে তা এখনও জোরালো নয় । তাই ডিসেম্বরের আগে বঙ্গে শীতের আগমনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আবহবিদরা ৷
দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস:
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী 4-5 দিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে ৷ তবে আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিলতে পারে ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, "আগামী 24 ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া ৷ তবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াও একইরকম থাকবে ৷ তবে 30 ও 31 অক্টোবর উপরের 5টি জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷"
কী বললেন আলিপুর অধিকর্তা ? (ইটিভি ভারত)
হাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানান, দীপাবলির দিন অর্থাৎ 31 অক্টোবর শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এরই সঙ্গে থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ ৷ উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে দীপাবলির দিন ৷
ভাতৃদ্বিতীয়ায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান হাওয়া অফিসের অধিকর্তা ৷ তিনি বলেন, "আগামী 2 নভেম্বর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে ৷ তবে উত্তরের 5টি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷" সুতরাং, 3 অক্টোবর ভাইফোঁটায় ভোগাবে না বৃষ্টি ৷
কলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাস:
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে ৷ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 32 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে । মঙ্গলবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 31.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 25.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 2.7 ডিগ্রি বেশি । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ 93 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 61 শতাংশ ৷