কলকাতা, 20 নভেম্বর: 'জেট স্ট্রিম'। হঠাৎ করেই এই দু'টি শব্দ পরিচিত হয়ে উঠেছে ৷ যার সঙ্গে বঙ্গে ঠান্ডার আগমনীর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে ৷ যার প্রভাবে অগ্রহায়ণে হেমন্তের দ্বিতীয় ভাগে হিমের জোরালো অনুভূতি ৷ আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, 'জেট স্ট্রিম'-এর হাত ধরে বঙ্গে ঠান্ডার 'রাত দখল'। বুধবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ছাড়া সারাটা দিন রৌদ্রজ্বল। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 28 ডিগ্রি এবং 18 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷
সারাটা দিন যেমন তেমন চললেও সন্ধ্যা নামার পরে হিমেল হাওয়ায় বেশ ভালোরকম শীত অনুভূত হচ্ছে । আপাতত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু প্রশ্ন হল, জেট স্ট্রিম কি ? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, "ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় 12 কিলোমিটার ওপরে ঠান্ডা বাতাস ঘণ্টায় প্রায় 170 কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে উত্তরের সমভূমির উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এটাই ‘জেট স্ট্রিম’।
শীতের সময়ে মধ্য এশিয়ার দিক থেকে উত্তুরে হাওয়া ভারতে প্রবেশ করে। যার নিয়ন্ত্রক এই জেট স্ট্রিম। এই বছর এখনও পর্যন্ত কোনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার বাধার মুখে পড়েনি ৷ ফলে ঠান্ডা বাতাস অবাধে ঢুকছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও ৷ ইতিমধ্যে হেমন্তে পুরুলিয়া টেক্কা দিচ্ছে কালিম্পংকে। পুরুলিয়ার পারদ 12 ডিগ্রির ঘরে ৷ বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 13 ডিগ্রির আশেপাশে ৷ ক্যানিং, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, নদিয়াতে ঠান্ডার অনুভূতি বেশ ৷ এই সব হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাসের সৌজন্যে। আগামী পাঁচদিন একইরকম চলবে পরিস্থিতি। ফলে শীত না-হলেও শীতের আগমনী হিসেবে এই জোরালো ঠান্ডার অনুভূতি হবে সন্ধ্যা নামার পর ৷