কলকাতা, 28 নভেম্বর: দুর্যোগ সাগরে। বঙ্গ স্থলভাগ থেকে দুর্যোগের দূরত্ব বেশি তাই প্রভাব নেই বললেই চলে। তবে হেমন্তের বঙ্গে পারদ পতনে রাশ পড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত। পন্ডিচেরি থেকে 640 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে 720 কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত শ্রীলঙ্কা উপকূল এড়িয়ে এর অভিমুখ তামিলনাড়ু উপকূলে। শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা তামিলনাড়ু, পদুচেরি ও করাইকাল এলাকায়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 200 মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে আগামী 24 ঘণ্টায়। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকাতে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব বঙ্গেও পড়ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে চার জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো উপকূলের জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলিতে। ফলে আপাতত শীতের আমেজে কিছুটা বাধা পেতে পারে । নভেম্বরের শেষ কটা দিনে উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
পশ্চিমের দিকে জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহভর শীতের আমেজ থাকবে। সপ্তাহের শেষে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলাতে। নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা আপাতত কম। সপ্তাহান্তে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে উপকূলের চার জেলাতে।