কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: আগামী 3 মার্চ রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসছে ৷ তার আগে আজ সবক'টি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডঃ আরিজ আফতাব ৷ রাজ্যে ফুল বেঞ্চ পা-রাখার আগেই জেলাভিত্তিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ হোমওয়ার্ক সেরে রাখতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ শনিবার সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডঃ আরিজ আফতাব ৷
অন্যদিকে আগামী 29 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্বীকৃত 8টি রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর ৷ নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এর আগে কখনও কোনও রাজনৈতিক দলকেই কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি ৷
শনিবার প্রতিটি জেলার সঙ্গে বৈঠক করা হয় মূলত আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ৷ এর আগেই জেলার থেকে সব রিপোর্ট নিয়ে পিপিটি পাঠাতে বলা হয়েছিল ৷ সেই নির্দেশ মেনে আগেই জেলাগুলি পিপিটি মেল করে দেয় ৷ তবে এদিন ফের সেই পিপিটি নিয়ে আলোচনা করা হয় ৷ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শনিবার বসিরহাটের এসপি সঙ্গে সন্দেশখালির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে কোনওরকম কথা হয়নি ৷
এদিকে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে বদলি সংক্রান্ত একটি নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে বদলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ বলা হয়েছে, তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে যেসব পুলিশ আধিকারিক একটি লোকসভা কেন্দ্রে কর্তব্যরত রয়েছেন, তাঁদের এবার অন্য লোকসভা কেন্দ্রে বদলি করতে হবে ৷
এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠেছে লোকসভা ভিত্তিক কেন বদলির নির্দেশ? কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 2019 সালে লোকসভা এবং তারপর বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে ৷ সেই সময় প্রতিটি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তিন বছর বা তার বেশি কোনও পুলিশ আধিকারিক একটি জেলায় কর্তব্যরত থাকলে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করতে হবে ৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেই নির্দেশ সঠিকভাবে মানা হয়নি ৷ অর্থাৎ, বিধানসভা ও জেলাভিত্তিক বদলি হলেও, পুলিশ আধিকারিকদের লোকসভা কেন্দ্র একই থেকেছে ৷
তবে এই নির্দেশিকার প্রধান উদ্দেশ্য, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা ৷ কমিশন মনে করছে, যে সব পুলিশ আধিকারিক একটি জেলা বা লোকসভা কেন্দ্রে তিন বছর বা তার বেশি সময় অথবা নিজের জেলায় কর্তব্যরত রয়েছেন, তাঁরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন ৷ এই সম্ভাবনাকে একেবারে শূন্য করে দিতেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন ৷
আরও পড়ুন:
- একই লোকসভার মধ্যে পুলিশের বদলি নয়, নয়া নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের
- ফুল বেঞ্চ আসার আগে জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠক
- নির্বাচন কমিশনে রদবদল, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হচ্ছেন বিনোদ কুমার