কলকাতা, 18 জানুয়ারি: আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, শনিবার ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করছে। ফলে উত্তর দিক থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাসের অবাধ প্রবেশ ধাক্কা খাবে। ফলে মাঘের শুরুতে শীতের প্রত্যাবর্তনের যে সামান্য আশা ছিল, তাতে বাধা পড়তে চলেছে।
ভালোভাবে শুরু করেও শীতের ইনিংস পৌষমাসে বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কাঁটায় বাধা পেয়েছে। ফলে কনকনে শীতের আমেজ টানা পাওয়া যায়নি। যদিও মনে করা হচ্ছিল, পৌষে হোক না হোক, মাঘে শীত বঙ্গে তার দাপট দেখাবে। কিন্তু, মাঘের শীতের আশাও এবার ফিকে হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধায়৷
উষ্ণ বড়দিন, উষ্ণ বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণ, উষ্ণ পৌষ সংক্রান্তি মিলিয়ে পৌষে শীতের সর্বনাশই দেখেছে বাংলা। এই অবস্থায় মাঘে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন আবহ বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, ইঙ্গিত মিললেও শীতল বাতাসে বাধা হয়ে দাঁড়াল সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই। ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 14 থেকে 15 ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাফেরা করবে।
তিরতিরে ঠান্ডার আমেজে শীত তার উপস্থিতি জানান দেবে। ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। উত্তরবঙ্গের মালদা, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের ওপর শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও ঠান্ডা সে ভাবে দাগ কাটতে পারবে না উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গেও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা সব জেলাতেই থাকবে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দিনের তুলনায় রাতে শীতের অনুভূতি বেশি থাকবে।
শুক্রবার কলকাতা এবং প্বার্শবর্তী অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 15.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 24.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.4 ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ 94 শতাংশ সর্বনিম্ন 54 শতাংশ। আজ শনিবার ভোরে কুয়াশা থাকলেও বেলায় আকাশে পরিষ্কার থাকবে। শনিবারের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 25 ডিগ্রি এবং 15 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।