কলকাতা, 15 অগস্ট: মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে আরজি করে 'গুণ্ডারাজ' চলেছে গত রাতে । এই নিয়ে প্রশাসন তো বটেই, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অন্যদিকে, শাসকদল তৃণমূল আবার বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতির সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, কারা তাণ্ডব চালিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে তার তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে। কলকাতা পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ তাণ্ডব চালাতে দিয়েছে। তাই কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ চাইছেন মহম্মদ সেলিমেরা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (ইটিভি ভারত) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু এবং সিপিএম মহম্মদ সেলিম মহিলাদের কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তেমনি আরজি করে ভাঙচুর এবং তাণ্ডবের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বিমান বসু বলেছেন, "আমার জীবনে শহর কলকাতায় এরকম ধরনের কর্মসূচি কখনও দেখিনি। এটা পশ্চিমবঙ্গবাসী দেখেছেন, সংহতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আরজিকরের ভিতরে দুর্বৃত্তরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না হয়, সেই দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।"
মহম্মদ সেলিম বলেন, "কালকের ঘটনার দুটো দিক আছে। একদিকে হাজার হাজার লাখো লাখো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিচারের বাণী যাতে নিভৃতে না কাঁদে, তার বিরুদ্ধে ঘৃণা উগড়ে দিয়েছেন এবং দাবি জানিয়েছেন। লাখো লাখো সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। এই আন্দোলন এই দাবি এই স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলকে কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের বলে দাবি করতে পারবে না। এটা সাধারণ মানুষের কৃতিত্ব । আর অন্যদিকে, পুলিশের উপস্থিতিতে 30-35 জন দুর্বৃত্ত যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং কলকাতা পুলিশ নক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছে, তার বিচার চাইছি। এর দায় কলকাতা পুলিশকে নিতে হবে ৷ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা নতুন করে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। সঠিক বিচার যাতে পাই, তার জন্য আন্দোলন জারি রাখা হবে ।"
এর পাশাপাশি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, "একদিকে যখন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন পুলিশ তাদের বারবার সভা করতে দেওয়া হবে না এখানে বসতে দেওয়া হবে না বলে বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। আরজিকর মুখে বিভিন্ন মিছিল আন্দোলনকে শ্যামবাজার থেকে এগোতে দেয়া হয়নি। অথচ, একদল দুর্বৃত্তকে কীভাবে কলকাতা পুলিশ আরজি করে ঢুকতে দিল, সেই কৈফিয়ৎ দিতে হবে । এই দুর্বৃত্তরা কোন ওয়ার্ড থেকে কোন তৃণমূল নেতার নির্দেশে এসেছে, তার রেকর্ড, ভিডিয়ো, তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে ৷ আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব ।"