সন্দেশখালি, 21 ফেব্রুয়ারি: বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্দেশখালি গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ৷ সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ার 14 দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের এই শীর্ষ কর্তা সন্দেশখালির মাটিতে পা দিলেন ৷ দুপুর আড়াইটে নাগাদ ডিজি-র কনভয় এসে পৌঁছয় ধামাখালি বাজার চত্বরে ৷ সেখানে থেকে ফেরিঘাটে একটি লঞ্চে করে জলপথে সন্দেশখালি ঘাটে যান ৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার রহমান মেহেদি হোসেন-সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ৷
সন্দেশখালি ফেরিঘাট থেকে একটি টোটোয় চেপে এদিন প্রথমেই থানায় আসেন ডিজি ৷ সেখানে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি ৷ প্রায় দু'ঘন্টা ধরে সন্দেশখালি থানায় পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ডিজি রাজীব কুমার। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে ফের টোটোতে চেপে পাশেই পিডব্লুউডি-র একটি সরকারি গেস্ট হাউসে আচমকা ঢুকে পড়েন রাজ্য পুলিশের এই শীর্ষ কর্তা।সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা স্থানীয় থানার অন্তর্ভুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন ডিজিপি রাজীব কুমার।মূলত,এলাকার আইনশৃঙ্খলা সহ বেশকিছু ইস্যু নিয়ে আলোচিত হয়েছে সেই বৈঠকে।এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সাথে বৈঠক শেষে এদিন সন্ধ্যায় আবারও টোটোতে চেপে সন্দেশখালি ফেরিঘাটে এসে পৌঁছান রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার।সেখানে আগে থেকেই একটি লঞ্চ প্রস্তুত ছিল তাঁর আসা-যাওয়ার জন্য।সেই লঞ্চে করেই এডিজি(সাউথ বেঙ্গল)সুপ্রতিম সরকারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নদীপথ পেরিয়ে সেতুলিয়া সর্দারপাড়ার দিকে চলে যান। তবে,রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার ঠিক কোথায় গেলেন তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব না হলেও মনে করা হচ্ছে বুধবার তিনি রাত্রিযাপন করবেন সন্দেশখালিতেই।এমনই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷