কালিম্পং, 24 এপ্রিল:কালিম্পং শহর থেকে প্রায় 35 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম গেন্দং ৷ প্রায় শতাধিক বাড়ি রয়েছে এই গ্রামে, যার মধ্যে হাজারো লোকের বাস ৷ তাঁদের মধ্যে থেকে প্রায় 450 জনের ভোট দেওয়ার কথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৷ দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের এইসব ভোটারদের প্রধান দাবি রাস্তা ৷ সেই রাস্তা না হওয়ায় ভোট থেকে বিরত থাকতে চলেছেন এখানকার বাসিন্দারা ৷
গ্রামবাসী সোমবাহাদুর ছেত্রী বলেন, "বর্ষার সময় নদী পার করা যায় না ৷ গেন্দংবাসী খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছে ৷ এদিক-ওদিক যাওয়ার রাস্তা নেই ৷ অসুস্থ হলে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ৷ এই পাহাড়ি ঝোরোর উপর দিয়ে ছেলেমেয়েরা সিকিমে স্কুলে যায় ৷ বৃষ্টির সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে খুবই সমস্যা হয় ৷"
যেখানে উন্নয়ন ও অগ্রগতির জোয়ারে মাথা তোলার জো নেই সেখানে ব্যতিক্রমী এই গ্রাম ৷ বছরের পর বছর ধরে নেই রাস্তা ৷ শহর থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত তাই সরকারি পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত গ্রামবাসীরা ৷ রাস্তার না থাকার ফলে তাদের কাছে পৌছয় না বার্ধক্য ভাতা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সরকারি প্রকল্লের সুবিধাগুলিও ৷
খাবার থেকে যে কোনও জিনিস গ্রামে আনার জন্য ভরসা বলতে বাঁশের সাঁকো ৷ এই সাঁকো পেরিয়েই নিত্যদিন ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে বয়স্কদের চিকিৎসা করাতে যেতে হয় ৷ নীচে বইছে পাহাড়ি ঝোরো, উপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো ৷ ফলে বর্ষাকালে ঝোরোর জল বেড়ে বেহাল অবস্থা হয় গ্রামবাসীদের ৷ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাকি দুনিয়ার সঙ্গে গেন্দং গ্রামের ৷
গ্রামবাসী চন্দ্রকলা থাপার কথায়, "রাস্তা না থাকায় খুব সমস্যা পোহাতে হয় আমাদের ৷ তিন-চারমাসের রেশন একেবারে এনে মজুত করে রাখতে হয় বাড়িতে ৷ বৃষ্টির সময় ঝোরোর জল বেড়ে যাওয়ায় রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না ৷ বাচ্চাদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ৷ কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পরে স্টেচারে করে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে নিয়ে যেতে হয় ৷ ঝোরোর জল বেড়ে গেলে বাড়িতেই রাখতে হয় ৷"