কাকদ্বীপ, 21 অগস্ট:পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় মুড়িগঙ্গা নদী বাঁধ ভেঙে বিপত্তি । হু হু করে ঢুকছে নদীর নোনা জল ৷ তাতে প্লাবিত কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত 8 নম্বর তিলকচন্দ্রপুর গ্রাম। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ঊষা দাস বলেন,"এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নেই ৷ যার কারণে বারবার মাটির নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে যায় আমাদের এই এলাকা ৷ বিষয়টি নিয়ে বারবার বিভিন্ন দফতরেও জানালেও সমস্যার কোনও রকম সুরাহা হয়নি । আমরা ইতিমধ্যেই আতঙ্কে রয়েছি ৷ আতঙ্কে আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ।"
গ্রাম ছাড়া 50 পরিবারের মানুষ (ইটিভি ভারত) যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নদীতে জোয়ারের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে । নদীতে ভাটার সময় আবারও পুনরায় জল নেমে যাবে এলাকা থেকে । রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি দাসের কথায়,"সাধারণ মানুষের এই সমস্যার কথা আমরা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ৷ খুব শীঘ্রই সাধারণ মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছি ।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া 50টি পরিবার । জলের তলায় 50টি বাড়ি ৷ গত কয়েক মাস আগে মুড়িগঙ্গা নদীর প্রায় 10 ফুটেরও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল জোয়ারের জলে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ভাঙন কবলিত নদী বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল ৷ তবে এবার ফের পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় পুনরায় 10 ফুটের মতন নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত এলাকা ।
গতবার নদী বাঁধে ভাঙনের কারণে এলাকা ছেড়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় আবার তারা ওই এলাকায় ফিরে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন । কিন্তু এবারে তেমনটা হবে কি না জানেন না গ্রামবাসীরা ৷ পাকাপাকিভাবে নদী বাঁধ সারাইয়ের দাবি তাঁদের ৷
