দার্জিলিং, 13 ডিসেম্বর: অতীতের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে আটকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ সম্প্রতি দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের প্রস্তাবিত উপাচার্যনিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ সেই তালিকায় নেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ বিধানসভা ও রাজভবনের টানাপোড়েনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়। এমনই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের ৷
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির প্রস্তাব মতো নামের তালিকা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপরেও স্থায়ী উপাচার্য পায়নি এই বিশ্ববিদ্যালয় ৷ এই অবস্থায় গত সাত বছর ধরে বন্ধ কনভোকেশন বা সমাবর্তন ৷ আড়াইশোর বেশি পড়ুয়াদের পিএইচডি কোর্স শেষ হলেও উপাচার্য না থাকায় মিলছে না সার্টিফিকেট ৷
দেশ-বিদেশ থেকে কাজের সুযোগ এলেও সার্টিফিকেট না মেলায় সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে রিসার্চ স্কলারদের ৷ উপাচার্য তো বটেই, ফাঁকা রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার, অ্যাকাউন্টস অফিসার-সহ একাধিক পদ ৷ সব দায়িত্ব একদিকে সামলে চলেছেন যুগ্ম রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত ও অতিরিক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং ডিন অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ রায় ৷ এককথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্তরকম প্রশাসনিক কাজ থমকে রয়েছে ৷
ডিন অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার এসব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ ৷ এসব পদ খালি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ থমকে যায় ৷ আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে ৷ কারণ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কমিটির চেয়ারম্যান ৷ ফলে অন্যান্য পদেও কাউকে নিয়োগ করা যাচ্ছে না ৷ উপাচার্য না থাকায় পড়ুয়া, গবেষক তো বটেই, অধ্যাপকরাও সমস্যায় রয়েছেন ৷ তাই আমরা চাই দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ হোক ৷"
এর মধ্যে চলতি মাসেই কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন বা পরীক্ষা নিয়ামক দেবাশিস দত্তেরও মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ৷ ফলে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না হলে একপ্রকার মুখ থুবড়েই পড়বে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ কারণ পরীক্ষা নিয়ামক নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা 49 টি কলেজের স্নাতক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেওয়াই সম্ভব হবে না ৷ |