কলকাতা, 16 জানুয়ারি:শুধুমাত্র হাওড়া স্টেশন থেকেই নয়, এবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে ছাড়বে বন্দে ভারত সেমি সুপার ফাস্ট ট্রেন ৷ এমনই পরিকল্পনা রয়েছে রেল বোর্ডের। আগামী তিন মাসের মধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তাবিত হতে পাবে ৷ সম্প্রতি, এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর।
সম্প্রতি, পূর্ব রেলের গত এক বছরের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। সেখানেই পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, একদিকে যেমন একাধিক ক্ষেত্রে পূর্ব রেলের বিভিন্ন কাজ এগিয়েছে তেমনই একাধিক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়াও আরও একাধিক প্রকল্পের কাজের কথাও জানানো হয়। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে খুব দ্রুত হাওড়া স্টেশনের পাশাপাশি শিয়ালদা স্টেশন থেকেই ছাড়বে বন্দে ভারত। বর্তমানে সেই কাজেই হাত দেওয়া হয়েছে। চলছে পরিকাঠামো তৈরির কাজ। তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই শিয়ালদা থেকে চালু হতে পারে বন্দে ভারত।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলা থেকে 9টি বন্দে ভারত সেমি সুপার ফাস্ট ছাড়ে ৷ সেগুলি হল- হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পটনা, হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-ভাগলপুর, হাওড়া-গয়া, হাওড়া-রাউরকেল্লা এবং নিউ জলপাইগুড়ি-পটনা।
কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা টার্মিনালের অদূরেই কাশীপুরে বন্দে ভারত ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি আধুনিক কোচিং ডিপো। এই জন্য প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শিয়ালদা থেকে বন্দে ভারত পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে কোচিং ডিপো নির্মাণের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিপোর জন্য যেই এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানেই পরিদর্শনের কাজও শেষ হয়েছে। এই
ডিপোটি তৈরি হয়ে গেলেই শিয়ালদা থেকে বন্দে ভারত চালু করার কাজে হাত দেবে কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি, এদিন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে মহড়া দৌড় শুরু হবে বলেই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যান্ডেল স্টেশনে স্যাটেলাইট টার্মিনাল তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের আয় বেড়েছে। এছাড়াও রেল লাইনের ধারে আবর্জনা ফেলার সমস্যার কীভাবে সুরাহা করা যায় সেই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে রেল।